এই সময়: বড়বাজার থানা এলাকার টেরিটি বাজারে বুধবার রাতে আগুন আয়ত্তে আনতে গিয়ে বেআইনি পার্কিংয়ের কারণে তুমুল বাধার মুখে পড়তে হয়েছে দমকলকে। শুক্রবার নবান্নে বেআইনি পার্কিং নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দমকলের পক্ষ থেকে পুরসভাকে চিঠি দিয়ে শহরের ঘিঞ্জি এলাকা থেকে বেআইনি পার্কিং সরানোর আর্জিও জানানো হয়েছিল সম্প্রতি। সূত্রের খবর, শুক্রবার কলকাতা পুরসভা এবং পুলিশকে বেআইনি পার্কিং ঠেকাতে প্রথমে গাড়ির মালিকদের সচেতন করার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরবর্তীতে পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছেন।এই পরিস্থিতিতে রাতের বেআইনি পার্কিং নিয়ে শনিবার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুরকমিশনার ধবল জৈন। পার্কিং লটের বাইরে গাড়ি রাখলে ক্ল্যাম্প লাগিয়ে দেওয়া হয় চাকায়। জরিমানা বাবদ হাজার টাকা দিলে তবে খোলা হয় ক্ল্যাম্প। বেআইনি পার্কিংয়ের রমরমা রুখতে জরিমানার পরিমাণ বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা করার দাবি তুলেছেন অফিসারদের একাংশ। সোমবার ফের এ বিষয়ে আলোচনা হবে। সেই সঙ্গে বেআইনি পার্কিং রুখতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে নিয়মিত অভিযান চালানোরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। পার্কিং লটের বাইরে গাড়ি রাখলে আইনি পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে অফিসারদের। একই সঙ্গে শহরে পার্কিং লট বাড়ানোরও পরিকল্পনা করছে পুরসভা। সে জন্যে পুলিশের সাহায্য নেওয়া হবে।
‘মেয়র অন কল’ অনুষ্ঠানই হোক বা পুরসভার কন্ট্রোল রুমে, বেআইনি পার্কিং নিয়ে অভিযোগ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। শহরবাসীর একাংশের অভিযোগ, উত্তর, মধ্য এবং দক্ষিণ—শহরের তিন প্রান্তেই বড় রাস্তা থেকে শুরু করে পাড়ার ছোট রাস্তায় গাড়ি রাখা অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছে মালিকদের। ফলে রাতে পাড়ার কোনও মানুষ অসুস্থ হলে যেমন অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকাতে সমস্যা হচ্ছে, তেমনই অগ্নিকাণ্ডের পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকে। আবার এমন পার্কিং থেকে জরিমানা বাবাদ যে পরিমাণ আয় হওয়ার কথা তাও হচ্ছে না পুরসভার। শহরে এমন অনেক সংস্থা রয়েছে যারা অফিসের সামনের রাস্তায় বেআইনি ভাবে গাড়ি রেখে দেয়। কোথায় কোথায় এমন ঘটনা বেশি ঘটছে, সেটাও দেখা শুরু করেছে পুরসভা। সম্প্রতি এ ক্ষেত্রে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে আইনি পথে হেঁটে ৯৮,৪০০ টাকা আদায় করেছে পুরসভা।
‘মেয়র অন কল’ অনুষ্ঠানই হোক বা পুরসভার কন্ট্রোল রুমে, বেআইনি পার্কিং নিয়ে অভিযোগ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। শহরবাসীর একাংশের অভিযোগ, উত্তর, মধ্য এবং দক্ষিণ—শহরের তিন প্রান্তেই বড় রাস্তা থেকে শুরু করে পাড়ার ছোট রাস্তায় গাড়ি রাখা অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছে মালিকদের। ফলে রাতে পাড়ার কোনও মানুষ অসুস্থ হলে যেমন অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকাতে সমস্যা হচ্ছে, তেমনই অগ্নিকাণ্ডের পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকে। আবার এমন পার্কিং থেকে জরিমানা বাবাদ যে পরিমাণ আয় হওয়ার কথা তাও হচ্ছে না পুরসভার। শহরে এমন অনেক সংস্থা রয়েছে যারা অফিসের সামনের রাস্তায় বেআইনি ভাবে গাড়ি রেখে দেয়। কোথায় কোথায় এমন ঘটনা বেশি ঘটছে, সেটাও দেখা শুরু করেছে পুরসভা। সম্প্রতি এ ক্ষেত্রে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে আইনি পথে হেঁটে ৯৮,৪০০ টাকা আদায় করেছে পুরসভা।
শনিবার পুর-অধিবেশনে ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার রূপক গঙ্গোপাধ্যায়ও পার্কিংয়ের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ওয়ার্ডের অনেক জায়গায় রাতে এমন ভাবে গাড়ি পার্ক করে রাখা হয় যে গলি থেকে মানুষ বেরোতে পারেন না।’ এ প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, সরকারি এবং বেসরকারি বহু জায়গায় রাতে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। কেউ-কেউ সে সব জায়গায় গাড়ি রাখতে চান না। এ বার রাস্তা আটকে গাড়ি রাখলে পুরসভা গাড়ির চাকায় কাঁটা লাগাতে বাধ্য হবে।
বেআইনি পার্কিং বেশি যেখানে- আলিপুর, গড়িয়াহাট, রাসবিহারী, হাজরা, বিবাদী বাগ, নিউ মার্কেট, হাতিবাগান, শিয়ালদহ