এই সময়, পাথরপ্রতিমা: শনিবার বিকেলে পাথরপ্রতিমায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত কিশোরের বাড়িতে এসেছিলেন পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর জানা। তিনি মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানান। মৃত শুভজিৎ দাসের (১৬) পরিবারের হাতে সরকারের দু’লক্ষ টাকার চেকের পাশাপাশি স্থানীয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে তিন লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।এ দিন বিধায়ককে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শুভজিতের বাবা-মা। দুই ভাই বোনের মধ্যে ছোট শুভজিৎ। দশম শ্রেণিতে পড়ত। দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। শুভজিতের দিদি সবিতা মণ্ডল বলেন, ‘এত ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেও কেন বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু রাখল, সেটাই বুঝে উঠতে পারছি না।’ উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে দুর্যোগের মধ্যে শুভজিৎদের শ্রীধরনগর এল প্লটের বাড়ির পাশের একটি গাছ ভেঙে পড়ে ছাদে। সেই গাছের ডাল ভেঙে পড়ে বাড়ির বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গিয়েছিল। শুভজিৎ তা জানত না। ভেঙে পড়া গাছটিকে সরানোর জন্য ডাল কাটতে গিয়ে সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যায়।

সবিতা বলেন, ‘বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মারটা অনেকটা দূরে। তখন ওখানে কেউ না থাকায় মেনটা ফেলার কথা বলতে পারেনি ভাই। সেটাই বিপদ ডেকে আনল। ভাইয়ের এ ভাবে চলে যাওয়াটা আমরা মেনে নিতে পারছি না। ঘটনার যথাযথ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’

মা দেখেন মেঝেতে পড়ে সিভিক ভলান্টিয়ার ছেলে, এমন সর্বনাশ হবে ভাবতেও পারেননি

শ্রীধরনগর এল প্লটের দীপাঞ্চলের বাসিন্দাদের প্রশ্ন, অন্য সময়ে একপশলা বৃষ্টিতেই বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ থাকে। আর সেখানে এত ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেও কেন বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু রাখা হলো? গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিদ্যুৎ দপ্তরের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বাসিন্দাদের বড় অংশ।

তবে পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর জানা বলেন, ‘এটা একেবারেই দুর্ঘটনা। এতে কারও কোনও গাফিলতি নেই। প্রশাসন, বিদ্যুৎ দপ্তর চেষ্টা করেছিল দুর্যোগ মোকাবিলার। আগে থেকেই উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করার জন্য লাগাতার মাইকে প্রচার করা হয়। তারপরও বিদ্যুতের মেন সুইচ অফ না করে কেন ওই কিশোর তারের উপর পড়ে থাকা গাছের ডাল কাটতে গেল বুঝে উঠতে পারছি না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version