জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাত পোহালেই ছটপুজো। কিন্তু ছটপুজোর উৎসব শুরুর আগেই শোকের ছায়া। না ফেরার দেশে পদ্মভূষণ প্রাপক গায়িকা সারদা সিনহা। তাঁর গান ছাড়া ছটপুজোর উৎসব কল্পনাই করা যেত না, কিন্তু এবারের সেই উৎসবের ঠিক মুখেই না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন গায়িকা সারদা সিনহা। 

আরও পড়ুন: Sushant Singh Rajput | Somy Ali: ‘সুশান্তকে খুন করা হয়েছে…’! বিস্ফোরক দাবি সলমানের প্রাক্তন সোমির

গত ২৬ অক্টোবর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সারদা সিনহা। দিল্লির AIIMS-এ চিকিৎসা চলছিল তাঁর। এদিন ইনস্টাগ্রামে তাঁর ছেলে অংশুমান সিনহা মায়ের মৃত্যুর খবর দেন। মায়ের একটি ছবি পোস্ট করে এদিন অংশুমান লেখেন, ‘তোমার প্রার্থনা এবং ভালোবাসা আমাদের সঙ্গে সবসময় থাকবে মা। ছটি মাইয়া ওকে নিজের কাছে ডেকে নিলেন। এই নশ্বর পৃথিবীতে উনি আর নেই আমাদের সঙ্গে।’ 

২৬ অক্টোবর তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে দিল্লির AIIMS-এ ভর্তি করানো হয়ে ছিল। সেখানেই লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাঁকে। বর্ষীয়ান লোক গায়িকা দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। তিনি উল্লিখিত হাসপতালের অঙ্কোলজি বিভাগের আন্ডারে ICU বা ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি ছিলন। সারদা সিনহার ২০১৭ সালে মাল্টিপল মায়েলোমা ধরা পড়ে, এটি এক ধরনের ক্যানসার যা আমাদের বোন ম্যারোকে এফেক্ট করে।

প্রসঙ্গত বিহারের অন্যতম খ্যাতনামা গায়িকা ছিলেন সারদা সিনহা। তিনি ভোজপুরি, মগধী, মৈথিলী ভাষায় একাধিক গান গেয়েছেন। এছাড়াও তিনি ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ সহ একাধিক ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন। সঙ্গীত জগতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি ১৯৯১ সালে ‘পদ্মশ্রী’ এবং ২০১৮ সালে ‘পদ্মভূষণ’ পুরস্কারে সম্মানিত হন।

সারদাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “প্রখ্যাত লোকশিল্পী সারদা সিনহার মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর গাওয়া মৈথিলী গান কয়েক দশক ধরে অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশ্বাসের মহান উৎসব ছট-এর সঙ্গে যুক্ত তার সুরেলা গানের প্রতিধ্বনি চিরকাল থাকবে। তাঁর চলে যাওয়া সঙ্গীত জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি।” 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version