মনোজ মণ্ডল: রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে বাংলাদেশে গ্রেফতার করা হয়েছে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। জানা গিয়েছে, হিন্দুদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে নির্বিচারে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কোনরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে না ইউনুস সরকারকে। গত কয়েক দিনে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এবার ভারতে আসা কয়েক হাজার বাংলাদেশি নাগরিকর রাতারাতি ফিরছেন নিজেদের দেশে।

আরও পড়ুন-জয়পুরের বাসিন্দা বলে ২ বছর চাকরি করছিলেন, কলকাতায় আটক বাংলাদেশি নাগরিক

কেন দলে দলে দেশে ফিরছেন বাংলাদেশিরা?  তাদের আশঙ্কা যে কোনো মুহূর্তে সিল করে দেওয়া হতে পারে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত। এমন আশঙ্কা ছড়াতেই ভিসার মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও, প্রয়োজনীয় কাজ চিকিৎসা এমনকি আত্মীয় পরিজনদের বাড়িতে ঘুরতে আসার পরিকল্পনা মাঝ পথেই ফেলে রেখে, দেশে ফিরতে পেট্রাপোল সীমান্তে ভিড় বাংলাদেশি নাগরিকদের। দেশে ফেরার জন্য পড়েছে লম্বা লাইন।
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে অত্যাচারে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। সেই পরিস্থিতিতে ভারত বিরোধী নানা মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়ালে। ফলে ভারতের সঙ্গে পরিস্থিতি খারাপ হলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে সীমান্তের দরজা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা ছাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না ভিসা। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক আদান-প্রদান চললেও, সে দেশে অস্বাভাবিক জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি অন্যতম কারণ হয়ে উঠছে মাথাব্যথার।  এই পরিস্থিতিতে এখন বাংলাদেশে থাকা পরিবার-পরিজনদের পাশেই থাকতে চাইছেন ভারতে ভ্রমণে আসা বাংলাদেশি নাগরিকরা। তাই পেট্রাপোল সীমান্তে যাত্রীদের লম্বা লাইন চোখে পড়ছে দেশে ফেরার।

ঘরে ফিরতে চাওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যাচ্ছে বর্তমানে তৈরি হওয়া পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্টই উদ্বেগে তারাও। যদিও পণ্য আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে এখনও তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি বলেই জানালেন পেট্রাপোল বন্দরের ক্লিয়ারিং ও ফরওয়ার্ডিং এর সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক ব্যবসায় এখনো কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে যাত্রীদের মধ্যে চঞ্চলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে আমদানি রপ্তানির বিষয়ে একটি প্রোগ্রাম হবে কোন একটি রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের তরফে। সে বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। অনেকেই জিজ্ঞাসা করছেন সোমবার এক্সপোর্ট ইমপোর্ট বন্ধ থাকবে কিনা তা নিয়ে। তবে এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো খবর নেই বলেও জানিয়ে দেন কার্তিকবাবু। তবে যদি কোন অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয় সেক্ষেত্রে প্রশাসন বিষয়টি দেখবে বলেও জানিয়ে দেন সীমান্তে পণ্য পরিবহনের দায়িত্বে থাকা এই আধিকারিক। তবে বাংলাদেশে নতুন করে যেভাবে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে তাতে চরম আতঙ্কিত সে দেশের নাগরিকরাও, তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে সীমান্তে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক, ভারতের সঙ্গেও সম্পর্ক থাকুক সুস্থ  চাইছেন সকলে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version