পার্থ চৌধুরী: কলেজে-কলেজে চলছে ‘থ্রেট কালচার’। এই কালচার চলছে সেই ২০২২ থেকে। আর এর পিছনে মদত রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্রনেতাদের! এই বিস্ফোরক উক্তি খোদ অধ্যক্ষের। কোথাকার? কোন কলেজের? ক্ষোভে-দুঃখে অসহায়ভাবে সাংবাদিক সম্মেলনে ভেঙে পড়লেন বর্ধমানের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রাজ কলেজের প্রিন্সিপাল নিরঞ্জন মণ্ডল। শনিবার বিকেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অধ্যক্ষ এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলেন। খুব স্বাভাবিক ভাবেই এ নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে জেলার শিক্ষামহলে। অবস্থা এতটাই অবিশ্বাস এবং আশঙ্কার মধ্য চলে গিয়েছে যে, অধ্যক্ষকে জরুরি সভা করতে হচ্ছে পুলিস পাহারা নিয়ে। এদিন অধ্যক্ষ জানান, এই অসহনীয় পরিবেশ নিয়ে তিনি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও চেয়ে চিঠি দিয়েছেন।
কী তাঁর অভিযোগ? তাঁর অভিযোগ, গতকাল সোশ্যালের ব্যাপারে এক বড় তৃণমূল ছাত্রনেতা তাঁর অনুমতি না নিয়েই বৈঠক করেন কলেজের রুমেই। তিনি এই নিয়ে পরিচালন সমিতির সভাপতিকে জানান। জেলাশাসককেও জানিয়েছেন। তিনি ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস দিয়েছেন। এদিন অধ্যক্ষ বলেন, কলেজে আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে। ৭০ জন শিক্ষক নিরাপত্তা চেয়ে তাঁর কাছে দরখাস্ত করেছেন।
অধ্যক্ষ আরও জানান, নতুন জিবি বা জেনারেল বডি মিটিং হওয়ার পর থেকেই এই থ্রেট কালচার চলে আসছে কলেজে। ৭১ জন শিক্ষক শিক্ষিকার ডেপুটেশন প্রিন্সিপালকে। এটাও নজিরবিহীন। অধ্যক্ষ আশঙ্কা করছেন, তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এই পরিস্থিতির জন্য বহিরাগত ও তৃণমূল ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধের হুমকির অভিযোগ তোলেন অধ্যক্ষ। তিনি জানান, কলেজে ছাত্র সংসদ বলে কিছু নেই। কিছু ‘বহিরাগত’ এবং ছাত্রনেতার দিকে তিনি অভিযোগের আঙুল তোলেন। এই নিয়ে কলেজের এক অধ্যাপক পিয়ালি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অসহনীয় পরিবেশ চলছে। বহিরাগতরা আসছে। অবিলম্বে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দরকার।
যদিও এই নিয়ে জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি ও দাপুটে নেতা স্বরাজ ঘোষ কিছু বলতে অস্বীকার করেন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)