মনোরঞ্জন মিশ্র: কোথায় বাঘ? বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ধোঁয়াশায় রয়েছে ঝাড়খণ্ড বনবিভাগ । বাঘের গলায় নেই রেডিও কলার। ফলে বাঘের গতিবিধি ও অবস্থান জানতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে ঝাড়খণ্ড বন দপ্তরকে। গত ৯ দিন ধরে ঝাড়খণ্ডের বন দপ্তরকে হিমসিম খাইয়ে রেখেছে ওই বাঘ । তবুও বাঘকে বাগে আনা যায়নি।

আরও পড়ুন-ঠান্ডায় কাঁপছে পশ্চিমের জেলাগুলি, আরও নামবে পারদ, শনিবার আচমকা হাওয়া বদল বঙ্গে

বাঘের আতঙ্কে ঝাড়খণ্ডের ১৩০ টিরও বেশি গ্রামে জারি হয়েছে সতর্কতা। সন্ধ্যা নামলেই গ্রামবাসীরা গৃহবন্দি হয়ে পড়ছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (WII) টিম । সরাইকেলা- খরসোঁওয়া, পূর্ব সিংভূমের জামশেদপুর, খুঁটি বনবিভাগ, দলমা মিলিয়ে প্রায় ৭-৮ জন ডিএফও পদমর্যাদার আধিকারিক, পালামৌ টাইগার রিজার্ভের বাঘ বিশেষজ্ঞরা এবং চিফ ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেনের তত্ত্বাবধানে চলছে বাঘের উপর নজরদারি ।

গত ৯ দিন ধরে ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা-খরসোঁওয়া বনবিভাগের চান্ডিল রেঞ্জ এলাকা, চৈনপুর, বালিডি জঙ্গল, দলমা রেঞ্জ, চৌকা রেঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ মিলেছে । প্রতিদিনই নিজের অবস্থান পরিবর্তন করছে ওই বাঘ । এক সপ্তাহ আগে একটি গবাদি পশুর শিকার করেছিল ওই বাঘ । তারপর থেকে বাঘের শিকারের নমুনা মেলেনি । কিন্তু বাঘ খালি পেটেও থাকবে না। ফলে ভরসা কেবল বাঘের পায়ের ছাপ। বাঘের অবস্থান জানতে তাই সকাল থেকেই বাঘের পায়ের ছাপ খুঁজছেন বনকর্মীরা । একাধিক রেঞ্জ এলাকায় জঙ্গল লাগোয়া এলাকাতে বন কর্মীদের টিম তৈরি করে মোতায়েন করা হয়েছে ।

এদিকে ঝাড়খণ্ড লাগোয়া পুরুলিয়া বনবিভাগও চিন্তিত । প্রতিদিন প্রায় ১০-১৫ কিমি পথ অতিক্রম করে অবস্থান পরিবর্তন করছে ওই বাঘ । ফলে আগে থেকেই তৎপর রয়েছে পুরুলিয়া বন দপ্তর। জিনাতের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তার জন্য আগে থেকেই ঝাড়খণ্ডের জঙ্গল লাগোয়া পুরুলিয়ার বিভিন্ন রেঞ্জ আধিকারিক ও কর্মীদের সঙ্গে করেছে পুরুলিয়ার বন বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। পুরুলিয়ার কংসাবতী দক্ষিণ ও পুরুলিয়া বনবিভাগ থেকে এই মর্মে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে অরণ্যভবনে। এই বাঘ কবে বাগে আসবে? মানুষের আতঙ্ক কবে কাটবে সেদিকেই তাকিয়ে সকলেই ।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version