জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ‘কোনও আক্ষেপ নেই’। দিনভর বিতর্কের পর শেষপর্যন্ত ইস্তফা দিলেন পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় রায়। বললেন, ‘সর্বোচ্চ নেত্রী যখন বলে দিয়েছেন, স্বাভাবিকভাবেই তাঁর নির্দেশ আমাকে মানতেই হবে’।

আরও পড়ুন:  EXPLAINED | Why Heat Wave in Spring: কেন মধুর বসন্তেই ভয়ংকর দাবদাহের মতো পরিস্থিতি? কেন বাংলায় এখনই ‘লু’-র চোখরাঙানি?

আজ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চেতলার বাড়িতে দিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা করেন পানিহাটির পুরসভার চেয়ারম্যান। প্রায় ২৭ মিনিটে দু’জনের। এরপর মলয় নিজেই জানান, ‘মন্ত্রীর কাছে ইস্তফাপত্র দিয়েছি। SDO-কেও দিয়ে এসেছি’। তাঁর আরও বক্তব্য, ‘আমার কোন আক্ষেপ বা ক্ষোভ কিছুই নেই।  ফিরহাদ হাকিম আমায় অনেক সাহায্য করেছেন। রাস্তা, জল, নিকাশি সবকিছু দিয়ে সাহায্য করেছেন। আমার কোনও আক্ষেপ নেই’। 

ফিরহাদ বলেন, ‘আমার পার্টি থেকে আমাদের নেত্রী, ওকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন পানিহাটিতে। নিশ্চয়ই নেত্রীর মাথা কিছু আছে, ওনাকে অন্য কোনও দায়িত্ব দেবেন বা দলের কোনও কাজে লাগাবেন। আমরা তো দলের সৈনিক। নেত্রী যে কাজটা দেন, সেই কাজটা করি। চেয়ার নিয়ে জন্মাইনি, চেয়ার নিয়ে মরেও যাব না। কিন্তু পার্টির আদর্শ, পার্টির প্রতি আনুগত্য নিয়ে থাকব’।

এর আগে, সকালে ফোন করে পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানকে পদ ছাড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন পুরমন্ত্রীই। কেন? সূত্রের খবর, পানিহাটি পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ জমা পড়েছে প্রশাসনের একেবারে শীর্ষস্তরে। এর আগেও দু’একবার তাঁকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পদ ছাড়া তো দূর অস্ত, কী অন্যায় করেছেন, তা পরিষ্কার  করে দেওয়ার দাবি তোলেন মলয়। 

পুরমন্ত্রীর অবশ্য দাবি,  ‘এটা সম্পূর্ণ দলের বিষয়। অমরাবতী বা অন্য কোনও ইস্যু নেই। দল মনে করেছে, তিনি  ওই জায়গায় না থাকলে পানিহাটিতে আরও  ভালো কাজ করা সম্ভব হবে। আমরা কারও উপরে কোনও ব্লেম দিচ্ছি না’।

আরও পড়ুন:  Grass Owl: টানা ৪০ বছর পর ফরাক্কায় দেখা মিলল বিরল প্রজাতির গ্রাস আউলের, হইচই এলাকায়

Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version