জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রাইভেট ডিটেক্টিভ চারুলতা মিত্র আর তার খুড়তুতো ভাই তপু সাধারণত মামুলি কেস নিয়েই ব্যস্ত থাকে। কিন্তু চারুর বিশ্বাস, একদিন ফেলুদা বা শার্লকের মতো তারও নামডাক যশ প্রতিপত্তি হবে। সেই সুযোগটা আসে ম্যাডির হাত ধরে—চারুর নতুন অ্যাসিস্ট্যান্ট।
রহস্য ঘনিয়ে ওঠে যখন খ্যাতনামা তন্ত্রবিদ শ্রীমতী পরমা সেন নিজের মৃত্যুর ভবিষ্যদ্বাণী করেন এবং অবিশ্বাস্যভাবে সেটি সত্যিও হয়ে যায়। অন্ধবিশ্বাসে ভরা রহস্যের জাল কাটিয়ে বাস্তববাদী চারু যখন এই কেসের গভীরে পৌঁছোতে যায়, সামনে আসে একের পর এক রহস্যময় মৃত্যু। কলকাতার বুকে একটা সিরিয়াল কিলিঙের ঘটনা যা রয়ে গেছে লোকচক্ষুর অন্তরালে।
Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News
ধীরে ধীরে চারু বুঝতে পারে, এই খুনের ঘটনাগুলোর উৎস লুকিয়ে রয়েছে তিন দশক আগের এক অভিশপ্ত দিনে। চারু কি পারবে এই ধারাবাহিক মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন করে খুনিকে থামাতে, নাকি এইবার তার ভাগ্যেই লেখা আছে পরাজয়?
অভিনয়ে থাকছেন-
সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Surangana Bandyopadhyay) (চারুলতা মিত্র)
দেবমাল্য গুপ্তা (Debmalya Gupta) (তপু)
অনুজয় চট্টোপাধ্যায় (Anujoy Chattopadhyay) (অরিন্দম লস্কর)
পামেলা কাঞ্জিলাল (Pamela Kanjilal) (ম্যাডি)
মল্লিকা মজুমদার (Mallika Mazumder) (সিদ্ধেশ্বরী বসু)
চৈতি ঘোষাল (Chaiti Ghoshal) (মিসেস পরমা সেন)
মানস মুখোপাধ্যায় (Manash Mukherjee) (হেমাঙ্গ হাজরা)
সন্মিত্র ভৌমিক (Sanmitra Bhaumik) (আদিত্য সেন)
পূজা সরকার (Pooja Sarkar) (রাধা)
সবুজ বর্ধন (Sabuj Bardhan) (ললিত মোহন)
আরও পড়ুন-Saif Ali Khan-Kareena Kapoor Marriage | ‘পোষাচ্ছে না, সইফ-করিনার বিচ্ছেদ মাত্র দেড় বছরের মধ্যেই!’
চিত্রনাট্য ও পরিচালনা: জয়দীপ ব্যানার্জি (Joydip Banerjee)
গল্প ও সংলাপ: সৌমিত দেব (Soumit Deb)
সিনেমাটোগ্রাফি: অনির (Onir)
সঙ্গীত: প্রাঞ্জল দাস (Pranjal Das)
সহযোগী পরিচালক: শুভদীপ মুখার্জি (Shuvodeep Mukherjee)
এডিটর: কৌস্তভ সরকার (Kaustav Sarkar)
সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এটা এক দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। প্রধানত, অসাধারণ কলাকুশলী ও আমার সহকর্মীদের জন্য। সেটে সবার মধ্যে যে আন্তরিকতা ছিল, তাতে আমাদের কাজের পরিবেশ আরো সহজ হয়েছে। ধীরে ধীরে আমরা চরিত্রটিকে কোথায় নিয়ে যাওয়া যেতে পারে তা বুঝেছি। জয়দীপদা সবরকম ভাবে সাহায্য করেছেন, আমার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, চরিত্রটির একাধিক স্তর অনুভব করতে সাহায্য করেছেন। সবচেয়ে ভালো দিক হল, উনি আমাদের প্রচুর স্বাধীনতা দিয়েছেন। প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল অ্যাকশন দৃশ্যগুলি করা, যা আমি আগে কখনো করিনি। প্রাজ্ঞ দত্ত ও অ্যাকশন টিমের কাছে এই কারণে আমি খুবই কৃতজ্ঞ। ডিটেকটিভ চারুলতা ক্লিক-এর সঙ্গে আমার প্রথম কাজ ছিল। ওরা সবাই একটা পরিবারের মতোন একত্র হয়ে কাজ করে। আবার কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। আমার অসাধারণ সহ-অভিনেতা অনুজয় চট্টোপাধ্যায়, দেবমাল্য গুপ্ত, পামেলা কাঞ্জিলাল, মল্লিকা সেনগুপ্ত , মানস মুখার্জি এরা থাকায় সেটের পরিবেশটি ছিলো একেবারেই ঘরোয়া অথচ পেশাদারিত্বে ভরপুর। ফলে প্রত্যেকেই নিজের সেরাটা দিতে পেরেছেন।’
জয়দীপ বন্দোপাধ্যায় বলেন,’ক্লিক-এর সঙ্গে গত পাঁচ বছরে এটি আমার পঞ্চম কাজ। এই প্ল্যাটফর্ম এবং দর্শকদের প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা, তাদের আস্থা এবং ভালোবাসার জন্য। বলাই বাহুল্য, শুটিংয়ের সময়সূচী ছিল অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু সমস্ত কলাকুশলীরা চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত ছিলেন এবং অভিনেতারাও ছিলেন চরম পেশাদার। আমার এবং অনুজয়ের জন্য এই সিরিজ ছিল এক প্রকার রিইউনিয়ন, অভিনেতা অনুজয় চট্টোপাধ্যায়কে এখানে পুনরাবিস্কার করবেন দর্শক। সুরঙ্গনা আমার কাজটা শুরু থেকেই সহজ করে দিয়েছিলো, কারণ ও অডিশনের সময় থেকেই চারুলতাকে আপন করে নিয়েছিলো। কঠিন অ্যাকশন দৃশ্য থেকে শুরু করে চরম আবেগেময় মুহূর্ত, সমস্তটাতেই সুরঙ্গনা চরম সাবলীল।’
অনুযয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘জয়দীপ দা’র সঙ্গে এটা আমার তৃতীয় কাজ। ক্লিকের সঙ্গে সম্ভবত সপ্তম। চিকফ্লিক করতে গিয়েই জয়দীপ দা’র সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় এবং অভিনেতা নির্দেশকের আন্ডারস্ট্যান্ডিং পরিস্কার হয়। আমি অপেক্ষা করে থাকি তাই। এমন চরিত্র আগে করিনি আগে। আমি প্রস্তুতির সময় সচেতন ছিলাম যাতে চরিত্রটি কেবল কমিক রিলিফ হয়ে না থাকে। কেবল ভাঁড় নয়, রক্তমাংসের মানুষ যেন হয়। এই সিরিজে আমার সহ অভিনেতা দের সঙ্গে আমার প্রথম কাজ। আলাপ ছিলো কিন্ত কাজ প্রথম। চমৎকার অভিজ্ঞতা। খুব বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ ছিলো সেটে। খুবই ভালোবেসে বানানো আমাদের এই কাজ। এটা কেবল থ্রিলার হয়ে থাকেনি। বহু চরিত্রের আনাগোনা এই গল্পে। আমাদের আশেপাশের সাধারণ চরিত্র বিশেষ হয়ে উঠেছে এই সিরিজে। আপনারা দেখুন। আমার বিশ্বাস হতাশ হবেন না।’
মল্লিকা মজুমদার বলেন, ‘ক্লিক-এর সঙ্গে আমার প্রথম কাজ, স্বাভাবিকভাবেই আমি খুব উত্তেজিত ছিলাম, যেহেতু আমি সবসময় ক্লিক-এর জন্য কাজ করতে চেয়েছি। সোনায় সোহাগা ছিলো অবশ্যই চরিত্রটি। এই প্রথম আমি একজন পুলিস অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করেছি, তাই হ্যাঁ, এটি আমার জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল, টেলিভিশনে আমি যে ভূমিকাগুলি করি তার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমার চেহারা, হাঁটাচলা, কথা বলার ধরন সবটাই নতুন ধাঁচে তৈরী করতে পেরে আমার খুব ভালো লেগেছে! সংলাপগুলি আমায় সেই কাজে আরো সাহায্য করেছে। আমি পুরোটা জুড়ে অভিনয়ের সুরটা অনুচ্চকিত রাখার চেষ্টা করেছি। আশা করি মানুষের ভালো লাগবে। আমার চরিত্রের প্রস্তুতির জন্য আমি আমার পরিচালকের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করেছি। তিনি জানতেন তিনি কী খুঁজছেন। জয়দীপ সম্ভবত আমি যাদের সঙ্গে কাজ করেছি তাদের মধ্যে সবচেয়ে শান্ত পরিচালক। উনি কি চান জানেন, ফলে প্রচন্ড নিশ্চিত এবং আত্মবিশ্বাসী। আমি ওর কাছ থেকে অনেক শিখেছি। আমি মনে করি আমার চরিত্রটি এতটা সহজ স্বাভাবিক দেখাচ্ছে কারণ আমি জয়দীপকে বিশ্বাস করেছিলাম।’
নিরাজ তান্তিয়া বলেন, ‘আমরা বছরটি শুরু করেছিলাম একটি সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ের সিরিজের মাধ্যমে। আমরা সেই ধারাই বজায় রাখছি, আমাদের প্রোগ্রামিং ফরম্যাটের মাধ্যমে। প্রচলিত ধ্যান-ধারণাকে ভেঙে। সমগ্র বিশ্বে যখন নারী দিবস সবে উদযাপন হয়েছে, আমরা উপস্থাপন করছি এক ক্ষমতাবান মহিলা গোয়েন্দাকে। মধ্যবয়সী পুরুষদের আধিপত্যপূর্ণ গোয়েন্দা জগতে, ‘ডিটেকটিভ চারুলতা’ এক নতুন দিশা দেখাবে। আমরা প্রথমবার সুরঙ্গনা ব্যানার্জির সঙ্গে কাজ করছি, এবং তাঁর অসাধারণ প্রতিভা আমাদের মুগ্ধ করেছে। এক তরুণ এবং উদ্যমী গোয়েন্দা হিসেবে তিনি শক্তি ও সংবেদনশীলতা, দুটোই ভারসাম্যের সঙ্গে উপস্থাপন করেছেন। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস এটি দর্শকদের আকর্ষণ করবে। তাঁর তরুণ ক্রু এবং অভিজ্ঞ মেন্টরের সঙ্গে তিনি অপরাধ সমাধানের এক নতুন ধারা তৈরি করবেন, যা দর্শকদের সম্পূর্ণ মনোযোগ ধরে রাখবে।’
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)