জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাল ২০০০, গ্ল্যামারের দুনিয়ায় একই সঙ্গে পা রাখেন এই তিন তারকা। একই বছরে মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, লারা দত্ত ও দিয়া মির্জা। সেবছর তাঁরাই হলেন সেরা তিন। সেই একই বছরে মিস ইউনিভার্স খেতাব পান লারা, মিস ওয়ার্ল্ডের মুকুট মাথায় উঠল প্রিয়াঙ্কার ও মিস এশিয়া প্যাসিফিক হলেন দিয়া মির্জা। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে সেই সময়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন দিয়া মির্জা।
Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News
সুন্দরী প্রতিযোগিতা জেতার পরে যখন তাঁরা সিনেমার দুনিয়ায় পা রাখেন, তখন তাঁদের কেরিয়ার নানারকমভাবে এগোয়। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে দিয়া বলেন, তিনি আর লারা যে অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন তা ছিল দেশলাই বাক্সের মতো, খেতেন ইনস্ট্যান্ট নুডলস। প্রিয়াঙ্কারও অনেক স্ট্রাগল চলছিল, যা দিনের পর দিন বেড়েই চলছিল।
আরও পড়ুন- Amitabh Bachchan: KBC-কে বিদায় অমিতাভের! নতুন সঞ্চালকের দৌড়ে শাহরুখ-ঐশ্বর্য-ধোনি…
দিয়া বলেন, ‘আমাদের টাকা পয়সা ছিল না। আমরা ইনস্ট্যান্ট নুডলস খেতাম’। অভিনেত্রী বলেন, যখন প্রিয়াঙ্কা ও লারা আন্দাজ ছবিতে ডেবিউ করেন তখন দিয়ার তিনটে ছবি ফ্লপ হয়ে গেছে। ক্রমশই স্ট্রাগল বাড়ছিল, কারণ সবসময় তাঁদের তিনজনের তুলনা করা হত। যদিও সেই তুলনা কখনই তাঁদের বন্ধুত্বে প্রভাব ফেলেনি। বলিউডে প্রথম কাজ করার সময় প্রথম দিকের দিনগুলির কথা স্মরণ করে দিয়া বলেন, “প্রিয়াঙ্কা ওর বাবা-মায়ের কাছ থেকে কিছুটা সমর্থন পেয়েছিলেন কিন্তু লারা এবং আমি পাইনি। লারা ইতোমধ্যেই এখানে থাকত কারণ ও মডেলিং করছিল এবং ও আমার সঙ্গে ওর অ্যাপার্টমেন্ট ভাগ করে নিয়েছিল, যা খুবই ছোট ছিল, দেশলাই বাক্সের আকারের। আমার মনে আছে আমি ওকে মিস ইউনিভার্সের জন্য জিনিসপত্র গুছিয়ে দিয়েছিলাম।
দিয়া বলেন, ইভেন্টে গিয়ে তিনি ও লারা দামি গাউন পরে বসে থাকতেন এবং অনুষ্ঠানে অভিনব শ্যাম্পেনের বোতল নিয়ে পোজ দিতেন এবং বাড়িতে ফিরে ইনস্ট্যান্ট নুডলস খেতেন, “কারণ আমাদের কাছে এর বেশি টাকা ছিল না।” দিয়া বলেন, “আমরা দুজনেই উন্মত্তের মতো হেসে উঠতাম, ভাড়ার কাপড়ে নিজেদের দেখে। আমরা বলতাম যে আমাদের দেখতে খুব গ্ল্যামারাস কিন্তু আমাদের ব্যাংকে টাকা নেই।”
আরও পড়ুন- Lagnajita Chakraborty: ‘মা কালী তো নারীই, অথচ পিরিয়ডস হওয়ায় পুজোয় থাকতেই দিল না…’
দিয়া মির্জা বলেন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া শুরু থেকেই “অসাধারণভাবে ভালো” অভিনয় শুরু করেছিলেন, কিন্তু ওকে আরও কিছু লড়াই করতে হয়েছিল এবং সেটা ও চালিয়ে গিয়েছিল, এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু লড়াই আরও তীব্র হয়ে ওঠে কিন্তু ও সত্যিই ভাল করছিল এবং তাই ওর প্রতি শ্রদ্ধা এবং বিস্ময় ছিল। কী অবিশ্বাস্য আত্মবিশ্বাস। আমার মনে আছে আমি মনে মনে ভাবছিলাম – আমি যদি তার অর্ধেক অভিনেত্রী হতাম, তাহলে আমি কতটা এগিয়ে যেতে পারতাম।”
দিয়া আরও বলেন, ‘আমি ও লারা বাড়ি থেকে কোনও টাকা নিতাম না। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা বাবা-মার থেকে পুরোপুরি সাপোর্ট পেত। প্রিয়াঙ্কার পরিস্থিতি অন্যরকম ছিল। তবে ওর পরিবারের সাপোর্ট ছিল। ওর গোটা পরিবার মেয়ের কেরিয়ার নিয়ে চিন্তায় ছিল, বিশেষ করে ওর মা ও ভাই সবসময় পাশে থাকত’।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)