সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: কেতুগ্রামের রসুই গ্রাম সংলগ্ন অজয় নদ থেকে আবারো উদ্ধার হল বহু প্রাচীন ত্রিবিক্রম বিষ্ণু মূর্তি। প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে এই মূর্তি আনুমানিক ৯০০ বছর আগের তৈরি। আগেও এই এলাকায় এই ধরনের মূর্তি উদ্ধার হয়ছিল অজয় নদ থেকে। তবে এবার ওই বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধারকে ঘিরে এলাকায় হইচই পড়ে গিয়েছে।

Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News

পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমার কেতুগ্রাম থানার রসুই, খেয়াই বান্দা এই রকম বেশ কিছু গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে অজয় নদ। এই নদ থেকে বিভিন্ন সময়ে উদ্ধার হয়েছে বহু প্রাচীন বহুমূল্যের মূর্তি। বৃহস্পতিবার অজয় নদ থেকে আবারো উদ্ধার হয় একটি প্রাচীন, বহুমূল্য ত্রিবিক্রম বিষ্ণু মূর্তি।

আরও পড়ুন-গরুর দুধ খেয়েই ‘মারণ’ Rabies-এ মৃত্যু মহিলার! কেন? জানা সবার জরুরি…

স্থানীয় এক ব্যক্তি এই মূর্তিটি দেখতে পেয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করেন। স্থানীয় লোকজন মারফৎ মূর্তি উদ্ধারের খবর কেতুগ্রাম থানায় পৌঁছালে পুলিস মূর্তিটি উদ্ধার করে কেতুগ্রাম থানায় নিয়ে যায়। শনিবার কেতুগ্রাম থানার উদ্যোগে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন-‘চেম্বারে ডেকে পাশে বসিয়ে ছাত্রীর ঊরুতে হাত অধ্যাপকের…..’, উত্তাল এনআইটি ক্যাম্পাস

শনিবার সমস্ত ধরনের নিয়ম সম্পন্ন করে কেতুগ্রাম থানার কাছ থেকে মূর্তিটি হস্তান্তর নেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়াম ও আর্ট গ্যালারির প্রতিনিধি তথা প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ শ্যামসুন্দর বেরা। এই মূর্তির ভাস্কর্য ও শিল্পকলা দেখে তিনি জানান মূর্তিটি প্রায় ৯০০ বছর আগে তৈরি হয়েছিল।

উল্লেখ্য ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই অজয় নদ থেকে পাওয়া একই রকমের ত্রিবিক্রম বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করেছিল কেতুগ্রাম থানা । কেতুগ্রাম থানার আই সি পার্থসারথি মুখার্জি জানান “আমরা খুশি এই ধরনের অতিপ্রাচীন উদ্ধারকৃত মূর্তিটি ওনাদের হাতে তুলে দিতে পেরে।” এছাড়াও বলেন “এর আগেও দুটি অতিপ্রাচীন মূর্তি অজয় নদ থেকে পাওয়া গেছিলো, যেগুলি কেতুগ্রাম থানা উদ্ধার করে রাজ্যের মিউজিয়ামে পাঠিয়েছে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version