অর্ণবাংশু নিয়োগী: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর প্রথম মামলা করল পর্ষদ। এই শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত অবৈধ বলে নিশ্চিতভাবে শনাক্ত না হওয়া চাকরিহারাকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন পর্ষদের।
কেন আবেদন? কীসের ভিত্তিতে আবেদন?
* রাজ্যে মোট শিক্ষকের সংখ্যা ১,৫১,৫৬৮ জন (প্রধান শিক্ষক ব্যতীত)। বেশিরভাগ স্কুল পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির জন্য প্রতি বিষয়ের জন্য একজন শিক্ষকের উপর নির্ভর করছে।
* রায় অনুসারে ১,৫১,৫৬৮ জন শিক্ষকের মধ্যে ১৭,২০৬ জনকে, শিক্ষকদের ১১.৩৫%, চাকরি বরখাস্ত করা হলে, রাজ্যের সমস্ত স্কুলের উপর এক বিধ্বংসী প্রভাব পড়বে।
* নির্দেশ এখনই কার্যকর হলে কী পরিস্থিতি হবে সেটা বোঝাতে ১৬টি স্কুলের হিসেব তুলে ধরা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের কাছে।
* ১) ধুলিয়ান বালিকা বিদ্যালয়, মুর্শিদাবাদ – স্কুলে মোট ছাত্র ১৯২৬ জন। মোট ২৭ জন শিক্ষকের মধ্যে ২৫ জন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার পর, এই স্কুলে মাত্র ২ জন শিক্ষক অবশিষ্ট থাকবেন।
* ২) হ্যামিল্টন স্কুল, কালচিনি ব্লক – মোট ৬ জন শিক্ষকের মধ্যে ৩ জন যাদের চাকরি বাতিল হয়েছে। তাঁরা বিজ্ঞান বিষয়ে পাঠদান করছিলেন। এখন স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগের জন্য কোনও শিক্ষক নেই।
* ৩) ছোট মোল্লা খালি মঙ্গল চন্দ্র বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়, জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা – মোট ৯ জন শিক্ষকের মধ্যে ৮ জন শিক্ষক চলে গেলে মাত্র ১ জন শিক্ষক অবশিষ্ট থাকবেন।
* ৪) জলপাইগুড়ির বানারহাট স্কুল – ১১ জন শিক্ষক এবং ৩ জন অশিক্ষক কর্মীর চাকরি চলে গেল, উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগে গণিত, রসায়ন এবং অর্থনীতির মতো মূল বিষয়গুলি পড়ানোর জন্য কোনও শিক্ষক থাকবে না।
* ৫) শীতলকুচি গোপীনাথ উচ্চ বিদ্যালয় – বর্তমানে ৩৫০০ শিক্ষার্থীর জন্য ২৭ জন শিক্ষক আছেন। এখন, বিদ্যালয়টি ৭ জন শিক্ষককে হারিয়েছে, যার ফলে বর্তমানে স্কুল পরীক্ষা নেওয়ার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
আরও পড়ুন, SSC Verdict Case Effect: শিক্ষক-সংকটে এবার স্থগিত পরীক্ষা, বিপাকে ৩ হাজার পড়ুয়া…
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)