জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রবিবার সকালে ঠাকুরপুকুরে (Thakurpukur Accident) মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে ছয়জনকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পরিচালক সিদ্ধান্ত দাস (Siddhant Das) ওরফে ভিক্টোর (Victo) বিরুদ্ধে। সেই আহতদের মধ্যে একজন ইতোমধ্যেই প্রয়াত, অন্যজন আশঙ্কাজনক, আহত আরও ৪। ১০ এপ্রিল অবধি ভিক্টোকে পুলিসি হেফাজত দিয়েছে আলিপুর কোর্ট (Alipore Court)। সেই গাড়িতে ভিক্টো ছাড়াও ছিলেন দুই মহিলা, বেসরকারি চ্যানেলের কার্যনির্বাহী প্রযোজক শ্রিয়া বসু ও অভিনেত্রী ঋ সেন (Rii Sen)। ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ঋ, অন্যদিকে শ্রিয়াকে আটক করলেও পরবর্তীতে ছেড়ে দেওয়া হয়। সিনে দুনিয়ার এই তিন ব্যক্তির কাণ্ডে কার্যত হতবাক গোটা ইন্ডাস্ট্রি। তাঁদের শাস্তির দাবি তুলছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। কেন ছেড়ে দেওয়া হল গাড়িতে উপস্থিত দুই মহিলাকে? প্রশ্ন তুললেন অভিনেত্রী। 

আর পড়ুন- Rii: ‘গাড়ি থেকে নামতেই ঘিরে ধরে লোকজন, তারপর ওরাই…’, ঠাকুরপুকুর দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী ঋ…

সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বস্তিকা লেখেন, ‘এতদিন জানতাম মদ খেয়ে গাড়ি চালানো একটা অতীব সিরিয়াস ক্রাইম। ধরা পড়লে পুলিশ কোনও কথা শোনে না। কোনও রকম ক্ষমতা, পরিচিতি – আমি কে জানো, আমি কার ছেলে জানো – এই মার্কা অ্যাটিটিউড কাজ করে না। সোজা হাজতবাস । কলকাতায় নাকি পুলিস এই নিয়ে খুবই কড়াকড়ি করে। তাই জানি এবং তাই দেখেছি। কড়া নাকাবন্দি, চেকিং, গাড়ি তে মহিলা থাকলেও কোনও আপোষ নয়। তাহলে এত মারাত্মক একটা ঘটনাতে সবাই  কি করে বেল পেয়ে গেল ? যে মহিলা বাজার থেকে পালাল তাকে নাকি ধরা-ই হয়নি। সে কে ? তাকে ছেড়ে দেওয়া হল কেন ? একটা নো এন্ট্রি রাস্তায় ঢুকে একজন কে মেরে ফেলল, বাকি এতজন হসপিটালে। এত রকম খবর ঘুরছে যে সঠিক কজন বোঝা দায়। কিন্তু একজনের মৃত্যুটা কি ইয়ার্কি?’

‘এমনই নৈরাজ্য তার মধ্যে মদ খেয়ে এই ভাবে এলোপাথারি গাড়ি চালিয়ে লোককে মেরে ফেললেও যদি কোনও শাস্তি না হয় এবং রাতারাতি বেল পেয়ে তারা যে যার বাড়ি চলে গিয়ে শান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ে তাহলে আর আইন বা ট্রাফিক আইনের কোনও দরকার নেই। যে যা ইচ্ছে তাই করবে, গাড়ি চাপা দেবে, খুন করবে, রেপ করবে তারপর কিছুই হবেনা। যার বাড়ির লোক সকাল বেলা বাজার করতে এসে কারোর আমাদের জন্য প্রাণ হারাল আর যারা হসপিটালে জীবন নিয়ে লড়ছে তাদের দায় কার ? তাদের জবাবদিহি কে করবে ? তাদের কি হবে ? সহ‍্য করার একটা সীমা থাকে। সব গিয়ে দেউলিয়া হয়ে গেছি আমরা। এদের বাঁচানোরও লোক আছে? শাস্তি না পেলে এর শেষ কোথায় ? গাড়ি যে চালাচ্ছিল এবং গাড়িতে যে দুজন মহিলা ছিল তারা সমান দোষী। এদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’, লেখেন স্বস্তিকা।  

আরও পড়ুন- Sudip Mukherjee Divorce: ‘বিচ্ছেদ নিয়ে প্র্যাঙ্ক নয়! ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলাম কারণ…’, ডিভোর্সে সিলমোহর সুদীপের…

কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে স্বস্তিকা লেখেন, ‘পাড়ার মধ্যে একদিন হেলমেট ছাড়া স্কুটিতে ওষুধ কিনতে গেছিলাম, পুলিশ আটকে দিয়েছিল। হাজার একটা কৈফিয়ত চাইল। মানুষ মেরে ফেলেছে যারা তাদের ব্যাপারে চুপ থাকলে তো হবেনা। লোক বুঝে নিয়ম পাল্টালেও হবেনা। চ্যাংড়ামো হচ্ছে নাকি? সবার জন্য নিয়ম একটাই। কঠোর শাস্তি’।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version