মৃত্যুঞ্জয় দাস: বাংলা বছরের ১৪৩২ সালকে স্বাগত জানাতে অভিনব উদ্যোগ। ১৪৩২টি ডুব দিয়ে বাংলা বছরকে স্বাগত জানালেন বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা সদানন্দ দত্ত। ইংরেজি হোক বা বাংলা প্রত্যেক নববর্ষকে স্বাগত জানাতে সালের সংখ্যা অনুযায়ী ডুব দিয়ে থাকেন সদানন্দ। তাঁর লক্ষ্য গ্রিনেসবুকে নাম তোলা। আর সেই লক্ষ্যেই অবিচল থেকে এই কর্মসূচি প্রত্যেক নববর্ষে তিনি জানান ইংরেজি সালকে স্বাগত জানাতে মল্লরাজ এলাকার লালবাঁধে এবং বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে যমুনাবাঁধে ডুব দেয় এবং পাশাপাশি শরীরকে নীরোগ রাখতে সাঁতার কাটার পরামর্শ দেন সকলকে।

সদানন্দ বাবুর এই কর্মসূচিকে দেখতে স্থানীয় মানুষজনরা ভিড় জমায় যমুনাবাঁধের পাড়ে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সকলেই উপস্থিত থাকেন। ১৪৩২টি ডুব দিয়ে বাঁধের জল থেকে ওঠা মাত্রই করতালি ও পুষ্পস্তবক ও উত্তরীয় পরিয়ে শুভেচ্ছা জানান স্থানীয় মানুষজন ও স্থানীয় কাউন্সিলর।

উপস্থিত স্থানীয় কাউন্সিলর এর বক্তব্য তাদের ইচ্ছে সদানন্দ বাবু বিশেষ লক্ষ্য রয়েছে সে তার লক্ষ্যে পৌঁছাক এটাই চাই তারা। তবে মফস্বল এলাকা বলে হয়তো সদানন্দ তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে তার পাশে তিনি সহ স্থানীয় মানুষরা সদানন্দ বাবুর পাশে আগামী দিনেও রয়েছেন বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন-সম্প্রীতির বার্তা! নববর্ষে রাখিবন্ধন উৎসব মালবাজারে…

আরও পড়ুন-নববর্ষের সকালে ময়দানে ইডি, পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে ৮ জায়গায় তল্লাশি

স্থানীয় কাউন্সিলর হীরালাল দত্ত বলেন, অত্যন্ত সহজ সরল মানুষ সদানন্দ। প্রতিবছরই তিনি ওরকম ডুব দিয়ে বর্ষবরণ করেন। ইংরেজি নববর্ষকে উনি স্বাগত জানান লালবাঁধে ডুব দিয়ে। তেমনি বাংলা নববর্ষও পালন করেন এই যমুনা বাঁধে ডুব দিয়ে।  এবার বাংলা বছরে ১৪৩২ বার যমুনা বাঁধে ডুব দিয়েছেন। দুঃখের বিষয় গ্রামের মানুষ হওয়ার জন্য ও প্রচারের আলোয় আসতে পারে না। এর সঙ্গে এলাকার মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

সদানন্দ দত্ত বলেন, ১৭-১৮ বছর এভাবে ডুব দিচ্ছি। ১৪১৪ সাল থেকে ডুব দিচ্ছি। আমার লক্ষ্য গিনেস বুকে নাম তোলা। ইংরেজি সালকেও এভাবে স্বাগত জানিয়েছি। ইংরেজি সালে লালবাঁধে ডুব দিয়েছি।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version