জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রতিদিন সকালে, ভারতের এক গ্রামীণ কৃষক আশার আলো নিয়ে তার জমিতে কাজ করতে যান। কিন্তু আজকের দিনে রাসায়নিকভিত্তিক চাষ কৃষকদের জীবনে অনেক সমস্যা এনে দিয়েছে। মাটি আগের মতো উর্বর নেই, ফসলের গুণমানও কমে গেছে, আর অর্থনৈতিক কষ্ট তো লেগেই আছে। এমন কঠিন সময়ে কৃষকদের জন্য আশার আলো হয়ে উঠেছে পাটঞ্জলি। প্রাকৃতিক ও জৈব চাষকে উৎসাহিত করে পাটঞ্জলি শুধু মাটির প্রাণ ফেরাচ্ছে না, কৃষকদের জীবনও বদলে দিচ্ছে। এখন কৃষকেরা শুধু পরিশ্রম করছে না, বরং এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছে।

আরও পড়ুন: Yoga Day: পতঞ্জলির সহায়তায় আন্তর্জাতিক যোগ দিবস কীভাবে বিশ্বব্যাপী আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল?

পতঞ্জলির জৈব কৃষি কীভাবে মাটির স্বাস্থ্যের উন্নতি ও কৃষকদের ক্ষমতায়ন করছে? পতঞ্জলির জৈব চাষের লক্ষ্য কী?

পতঞ্জলির জৈব চাষের প্রধান লক্ষ্য হল রাসায়নিক চাষের ক্ষতিকর প্রভাব কমানো এবং প্রাকৃতিক চাষকে উৎসাহ দেওয়া। এর মাধ্যমে মাটির উর্বরতা ফিরিয়ে আনা ও কৃষকদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করা হচ্ছে। গবেষণা বলছে, দীর্ঘ সময় ধরে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে মাটি দুর্বল হয়েছে, ফসল কম ফলছে এবং পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সমস্যার সমাধানে পতঞ্জলি গ্রহণ করেছে জৈব চাষ, যা মাটিকেও উপকার করে এবং কৃষকদেরও সাহায্য করে।

কৃষকদের সঠিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে-

পতঞ্জলির সবচেয়ে বড় অবদান হলো কৃষকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া। ‘পতঞ্জলি কিষান সমৃদ্ধি প্রোগ্রাম’-এর মাধ্যমে কৃষকদের সহজ ও কার্যকর জৈব চাষের কৌশল শেখানো হয়। এতে তারা রাসায়নিক কম ব্যবহার করে মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে এবং ভালো মানের ফসল উৎপাদন করতে পারে। পাশাপাশি, পতঞ্জলি জল সংরক্ষণ ও টেকসই চাষাবাদ সম্পর্কেও প্রশিক্ষণ দেয়, যা ভবিষ্যতে জমির জন্য ভালো। এর ফলে কৃষিকাজের মান যেমন উন্নত হয়, তেমনি পরিবেশও সুরক্ষিত থাকে।

কৃষকদের আয় বাড়ানো-

পতঞ্জলি কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে সঠিক ব্যবসার পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কৃষকেরা যাতে তাদের জৈব পণ্যের ন্যায্য দাম পায়, তা নিশ্চিত করছে প্রতিষ্ঠানটি। পতঞ্জলি কৃষকদের ভালো মানের বীজ, জৈব সার ও প্রাকৃতিক কীটনাশক সরবরাহ করে, যাতে তারা স্বাস্থ্যকর ফসল উৎপাদন করতে পারে এবং সেগুলি বাজারে ভালো দামে বিক্রি হয়।

পতঞ্জলি ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে কৃষকদের সংযুক্ত করছে, যাতে তারা নতুন বাজার সম্পর্কে তথ্য পেতে পারে।

এছাড়াও, পতঞ্জলি কন্ট্রাক্ট ফার্মিং (চুক্তিভিত্তিক চাষ) উৎসাহিত করছে, যেখানে কৃষকেরা নির্দিষ্ট ফসল যেমন অ্যালোভেরা, তুলসী ও মোগরা চাষ করেন, আর পতঞ্জলি সেগুলি সরাসরি কিনে নেয়। এতে কৃষকদের ফসল বিক্রির নিশ্চয়তা থাকে।

আরও পড়ুন: Patanjali Yoga: আজকের দিনে স্ট্রেস কমাতে পতঞ্জলি যোগকে কেন এক শক্তিশালী উপায় বলে মনে করা হয়?

উপসংহার

এই উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে কৃষকেরা আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জন করছে এবং রাসায়নিক চাষের ঝুঁকি এড়াতে পারছে। জৈব ফসল বাজারে বেশি দামে বিক্রি হওয়ায় কৃষকদের আয় বাড়ছে এবং তারা পরিবারকে আরও ভালো জীবন দিতে পারছে।

জৈব চাষকে গুরুত্ব দিয়ে পতঞ্জলি মাটির স্বাস্থ্য উন্নত করছে এবং কৃষকদের ক্ষমতায়ন করে ভারতের গ্রামাঞ্চলে একটি টেকসই ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ তৈরি করছে।
[এই প্রতিবেদনটি IndiaDotCom Pvt Lt-এর কনজিউমার কানেক্টেড একটি উদ্যোগ। জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল সম্পাদকীয় বিভাগ প্রতিবেদনের বক্তব্যের জন্য দায়বদ্ধ না।]

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version