পিয়ালী মিত্র: আই আই এম জোকার ধর্ষণ কাণ্ডে তীব্র চাঞ্চল্য। ইতোমধ্যেই IIM কর্তৃপক্ষের কাছে সিসিটিভি চাইল পুলিস। পাশাপাশি বাইরের রাস্তার সিসিটিভিতে মনোবিদ তরুণীর IIM-এ প্রবেশ ও বেরনোর প্রমাণ মিলেছে ফুটেজে।
সূত্রের খবর, টাওয়ার লোকেশন থেকেও মিলেছে দীর্ঘক্ষণ IIM-তে উপস্থিতির প্রমাণ। ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করছে ফরেন্সিক। সিল করা হয়েছে রুম।
তরুণীকে কাউন্সেলিংযের অজুহাত দিয়ে ডেকে এনেছিল ছাত্র, ফলে ঘটনার আগে তাদের মধ্যে কী কথা হয় সেই চ্যাট ও তদন্তকারীদের নজরে। সেই সঙ্গে মোবাইল কোনও ভিডিয়ো আছে কিনা, তা জানতে ধৃতের মোবাইল পাসওয়ার্ড উদ্ধারে তৎপর পুলিস। সূত্রের দাবি, জেরায় পাসওয়ার্ডের প্রশ্নে চুপ অভিযুক্ত।
অন্যদিকে, গতকাল বারবার চেষ্টা করেও তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি পুলিস। তরুণী মনোবিদ নিজে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে আর সহযোগিতা করছেন না বলে জানা গিয়েছে। এমনকী নির্যাতিতার অসহযোগীতার কারণে এখনও করানো যায়নি মেডিক্যাল, বাজেয়াপ্ত করা যায়নি পোশাক, মোবাইল। তবে কি সামাজিক গঞ্জনার ভয়ে অভিযোগ থেকে পিছু হটছেন তিনি ও পরিবার। তবে তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ না করা গেলেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পারিপার্শ্বিক তথ্য জোগারে জোর পুলিসের।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর নির্যাতিতার বাবা চমকপ্রদ বয়ান দেন। বাবার দাবি, শুক্রবার রাত ৯:৩৪ মিনিট নাগাদ ফোন পায় তার মেয়ে অটো থেকে পড়ে গিয়েছিল এবং অটো থেকে পড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।
নির্যাতিতার বাবার দাবি, ধর্ষণই নাকি হয়নি। তরুণীকে এমন বয়ান দিতে বলা হয়েছিল বলেই দাবি তাঁর। তিনি বলেন, আমি জানতে পারি মেয়ে এসএসকেএম নিউরোলজিস্ট ডিপার্টমেন্টে রয়েছে। মেয়েকে হরিদেবপুর থানা পুলিস উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। মেয়ে বাড়িতে ফেরার পর তার বাবাকে জানায়, আমার সাথে ধর্ষণের মতো এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি বা শারীরিক নির্যাতন করেনি।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)