প্রসেনজিত্ মালাকার: ভাঙড়ের পর এবার বীরভূমে খুন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা। ঘটনাটি ঘটে, বীরভূমের লাভপুর বিধানসভার আমদপুরের শ্রীনিধিপুর অঞ্চলের কোমরপুর গ্রামে। গভীর রাতে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ পীযূষ ঘোষকে।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাত প্রায় ২টো নাগাদ ফোন পেয়ে বাইকে চড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। পাশেই পড়ে ছিল তাঁর বাইক। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, একেবারে কাছ থেকে গুলি চালানো হয় তাঁর উপর। পিছন থেকে তার মাথায় গুলি করা হয়েছে। সেখানেই মৃত্যু হয় তার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পীযূষবাবু বালি কিনে এনে বিক্রি করতেন। ব্যবসা ও তৃণমূল সংগঠনের কাজ মিলিয়ে তাঁর বেশ প্রভাব ছিল এলাকায়। ঘটনাস্থলের সামনে থাকা একটি বাড়ি থেকে মৌসুমী মাল নামে এক মহিলাকে আটক করেছে পুলিস। তাঁর পরিবারের দাবি, মৌসুমী তৃণমূল কংগ্রেস করতেন এবং পীযূষ ঘোষের সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক যোগাযোগ ছিল।
এই ঘটনার সঙ্গে মৌসুমী বা অন্য আটক ব্যক্তিদের ভূমিকা কী—তা জানার চেষ্টা করছে পুলিস। ইতিমধ্যে সাঁইথিয়া থানার পুলিস তিনজনকে আটক করেছে, যাদের মধ্যে দু’জন মহিলা। ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। এলাকাজুড়ে চরম উত্তেজনা, মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিসবাহিনী। পুলিস খুনের মোটিভ জানতে জোরদার তদন্ত চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, রাজ্জাক খান খুনে আটক করা হয় দুই তৃণমূল নেতাকে। ঘটনার পর রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই নিরাপত্তা বাড়াতে পদক্ষেপ নেয় প্রশাসন। এবার ভাঙড়ের ১০ জন তৃণমূল নেতাকে বরাদ্দ করা হয় নিরাপত্তারক্ষী। কলকাতা পুলিসের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)