সন্দীপ প্রামাণিক: জোকা আইআইএম ধর্ষণকাণ্ডে বড় আপডেট। অভিযুক্ত পড়ুয়া পরমানন্দ তোপ্পাওয়ারকে অন্তর্বর্তী জামিন দিল আলিপুর পুলিস আদালত। ৫০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন হল। এছাড়াও আরও কিছু শর্ত রয়েছে, তদন্তের খাতিরে যখন দরকার পড়বে তাকে ডাকা হবে এবং তাকে সহযোগিতা করতে হবে।
আরও পড়ুন:Ajker Rashifal | Horoscope Today: খরচ বাড়তে পারে মিথুনের, সব ক্ষেত্রে ভাগ্য সঙ্গ দেবে কন্যার…
রাজ্য ছেড়ে যেতে পারবে না এবং অভিযোগকারিণীর উপর কোনও রকম প্রভাব সৃষ্টি করা বা তার চেষ্টা করা থেকেও বিরত থাকতে হবে। বেলের গ্রাউন্ড বা কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযোগকারিণীকে চেষ্টা করেও আদালতে আনা সম্ভব হয়নি। ৩ দিন সময় ঠিক করেও গোপন জবানবন্দি নেওয়া সম্ভব হয়নি, তাই অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া হল।
অন্যদিকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছে অভিযুক্ত। শর্তগুলি হল:
●পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।
●রাজ্য ছাড়তে গেলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে।
●তদন্তে সব রকমের সাহায্য করতে হবে।
●তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে।
●অভিযোগকারিনীর উপর কোনও রকম প্রভাব বিস্তার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, ১২ জুলাই জোকা IIM-এ বয়েজ হস্টেলে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। যদিও নির্যাতিতা কলেজের ছাত্রী নয় বলেই জানা যায়। নির্যাতিতা নিজে প্রথমে ঠাকুর পুকুর থানাতে যান অভিযোগ জানাতে, তারপর তাকে হরিদেবপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন:Arambag: গাড়ির ভিতর চলে নারকীয় অত্যাচার! বড় বোনকে লাগাতার ধ*র্ষ*ণ, রেহাই পায়নি ছোটও…
নির্যাতিতা জানান, ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে মাদক জাতীয় কিছু খাইয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। অভিযোগ ওঠে, তরুণী অভিযুক্তের পরিচিত। কিছুদিন আগে আলাপ হয়। অভিযোগ, কাউন্সেলিং সেশনের জন্য ওই ছাত্রীকে অভিযুক্ত আইআইএমে ডেকে পাঠায়। কিন্তু কাউন্সেলিংয়ের জায়গায় না গিয়ে বয়েজ হস্টেলে নিজের রুমে নিয়ে যায় জরুরি নথি নেওয়ার অজুহাতে। সেখানে পিৎজা ও কোল্ড ড্রিংক খেতে দেয়। সেগুলি খাওয়ার পরই আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন তরুণী বলে অভিযোগ। এরপরই তাকে ধর্ষণ করা হয়। মারধরও করা হয় ছাত্রীকে অভিযোগ।
অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু তারপরই তদন্তের মোড় ঘুরতে শুরু করে। নির্যাতিতার বাবা চমকপ্রদ বয়ান দেন। বাবার দাবি, ধর্ষণই নাকি হয়নি। তরুণীকে এমন বয়ান দিতে বলা হয়েছিল বলেই দাবি তাঁর। তিনি বলেন, আমি জানতে পারি মেয়ে এসএসকেএম নিউরোলজিস্ট ডিপার্টমেন্টে রয়েছে। মেয়েকে হরিদেবপুর থানা পুলিস উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। মেয়ে বাড়িতে ফেরার পর তার বাবাকে জানায়, আমার সঙ্গে ধর্ষণের মতো এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি বা শারীরিক নির্যাতন করেনি। আর তারপর থেকে তদন্তের কোনও কিছুতেই নির্যাতিতা কোনওরকম সহযোগিতা করেননি বলেই জানা গিয়েছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)
