নকিবউদ্দিন গাজি ও সোমা মাইতি: সাত সকালে ধান জমিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে এক যুবক। তাকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিসে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা কাকদ্বীপের হারুদ পয়েন্ট পোস্টাল থানা রামতনু নগর এলাকায়। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিহত যুবকের নাম রাকিব সেখ(২৭)।
রামতনুনগর ৪ নম্বর বুথের বাসিন্দা। এলাকার তৃণমূল নেতা সালাউদ্দিন সেখের ভাইপো। মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ধানজমির কাছে। কী কারণে এই খুন তা বোঝা যাচ্ছে না। রাজনীতির সঙ্গে রাকিবের কোনও সম্পর্ক ছিল না।
নিহতের বাবা বলেন, গতকাল রাত ১২টি পর্যন্ত গাড়ি চালিয়েছি মাঠে। জানতাম ছেলে ঘরে ঘুমাচ্ছে। কে ওকে বাইরে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল বুঝতে পারছি না। সকালে বাজারে চা খেতে গিয়েছিলাম। সবাই বলছে তোল ছেলেকে কুপিয়ে দিয়েছে। আমার তিন ছেলে। ওরা কারও সাতেপাঁচে থাকে না। গিয়ে দেখি ওর দেহ রাস্তায় তুলে এলেছে মাথার পেছনে কোপ দেওয়া। রাতের বেলা ওই জায়গায় যাওয়ার লোক ও নয়।
আরও পড়ুন-টাইফুন উইফা-র প্রভাবে নিম্নচাপ, আগামি ৪ দিন ভারী বৃষ্টিতে ভাসবে দক্ষিণবঙ্গ
আরও পড়ুন-ক্রোধের কারণে বড়সড় বিপদ কর্কটের, বড় কোনও ভুল হয়ে যেতে পারে সিংহর
এদিকে, মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে খুন হলেন এক তৃণমূল কর্মী। বুধবার ভরতপুর থানার আলুগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের সেহলায় এলাকায় খুন হন ষষ্ঠী ঘোষ নামের এক তৃণমূল কর্মী। কুপিয়ে খুন করা হয় ওই তৃণমূল কর্মীকে।
খুনের ঘটনায় আটক আলুগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মৌসুমী ঘোষের স্বামী মিহির ঘোষ সহ দুই ব্যক্তি। ওই এলাকায় সঞ্জয় ঘোষ নামের কংগ্রেস কর্মী খুন হন দীর্ঘদিন আগে। সেই ঘটনার পাল্টা এই খুন নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোন ঘটনা ? তদন্ত করে দেখছে পুলিস।
ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির স্বীকার করেছেন, যিনি খুন হয়েছেন ও যারা খুন করেছেন তাঁরা দুই পক্ষই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। খুন নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। হুমায়ুন কবির বলেছেন, যিনি খুন হয়েছেন তিনি তৃণমূল করেন। যারা খুন করেছে তাঁরাও তৃণমূল করে । তবে ব্যক্তিগত কারণে এই খুন। ব্যবসা সংক্রান্ত বিবাদ থাকতে পারে। এর মধ্যে কোন গোষ্ঠী কোন্দল নেই।