অরূপ বসাক: মালবাজার মহকুমায় বন্য হাতির (wild Elephant) উপদ্রব ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। কখনও বসতি, কখনও স্কুল, কখনও আবার ক্ষেতখামারে হানা দিচ্ছে হাতির দল। এমনই এক দৃশ্য দেখা গেল মালবাজার (Malbazar) ব্লকের ওদলাবাড়ি শান্তিকলোনির ডাঙাপাড়া এলাকায়। শনিবার ভোররাতে প্রায় ২০-২৫টি বন্য হাতির একটি দল এলাকায় প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়। ধ্বংস হয় ধানখেত, সুপারিবাগান ও সব্জি খেত। আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা, মাথায় হাত কৃষকদের।

আরও পড়ুন: Third Sawan Monday 2025: শ্রাবণের তৃতীয় সোমবারে ৩ অতি বিরল যোগ, ৩ অতি পুণ্য তিথি! ছোট্ট এই কাজটি করলেই শিবের কৃপায় মহাপ্রাপ্তি…

নষ্ট কলাগাছ, ধ্বংস সব্জি, ধান 

স্থানীয় কৃষক সন্তোষ ছেত্রী, কালে ছেত্রী এবং লেবুয়া মহম্মদ জানান, ভোর আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে হাতির দলটি গ্রামে প্রবেশ করে ধানখেত ও সুপারিবাগানে তাণ্ডব চালায়। প্রায় ৮০-৯০টি সুপারি গাছ হাতিরা ভেঙে ফেলে ও খেয়ে নেয়। নষ্ট হয় অসংখ্য কলাগাছ। ধ্বংস করে সব্জিক্ষেতের ফসল। 

নষ্ট সেচব্যবস্থা, ক্ষতি কৃষিজমির

এদিকে, হাতি তাড়াতে গিয়ে আহত হন কৃষক লেবুয়া মহম্মদ। স্থানীয় বাসিন্দা পলাশ দে সরকার ও অনিষ ঘিমিরে জানান, গ্রামের পাশেই রয়েছে তারঘেরা গভীর জঙ্গল। সেখান থেকেই হাতির দলটি গ্রামে ঢুকেছে। ধানখেতে সদ্য রোপণ করা ধান গাছ হাতির পায়ের চাপে পিষ্ট হয়ে গিয়েছে। নষ্ট হয়েছে সেচব্যবস্থাও। ক্ষতি হয়েছে কৃষিজমির। তাঁরা জানাচ্ছেন, শুধু হাতি নয়, এক মাস আগেই একই গ্রাম থেকে চিতাবাঘ ছাগল মেরে নিয়ে গিয়েছিল এবং একটি গরুকে আহত করেছিল।

জীবনজীবিকা সংকটে

গ্রামের মানুষের দাবি, বন দফতরকে আরও সক্রিয় হতে হবে। নিয়মিত টহলদারির ব্যবস্থা করতে হবে এবং হাতির গতিবিধি রুখতে উপযুক্ত উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। নয়তো কৃষক ও গ্রামবাসীদের জীবনজীবিকা চরম সংকটে পড়বে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বন দফতরের কর্মীরা জানাচ্ছেন, যেসব কৃষকের ক্ষতি হয়েছে, বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়ে বন দফতরের অফিসে নথি জমা দিতে হবে তাঁদের। এরপর ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে।

আরও পড়ুন: Deadly Lightning: ভয়াল বজ্রপাত! ময়ালের মতো বিদ্যুৎ জড়িয়ে ধরল গাছের পর গাছ! মরে গেল ৩৫০০০০০০০…

ডামডিমে দাঁতাল

অন্য দিকে, গতকাল রাতে মাল ব্লকের ডামডিম এলাকাতেও হাতির তাণ্ডবের খবর পাওয়া যায়। গভীর রাতে ডামডিমের খাগড়াবস্তিতে হাতির দল ঢুকে পড়ে। এরপর বনকর্মী এবং গ্রামের মানুষ হাতির দলকে জঙ্গলে ফেরান। পাশাপাশি পশ্চিম ডামডিম এলাকায় একটি দাঁতাল হাতি খাবারের খোঁজে এলাকার বাসিন্দা বাগরা রায়ের রান্নাঘর ভেঙে আনাজপাতি খেয়ে নেয়।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version