জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২ বোনের এক স্বামী! ভবানীপুরের বিদ্যাসাগর কলোনিতে নাবালিকার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় কেঁচো খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে কেউটে! ৪ বছর আগে ওই নাবালিকার মা ববিতারও রহস্যমৃত্যু হয়েছিল। তারপরই বোন পূজাকে বিয়ে জামাইবাবুর! অতীতে মাকেও ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল! আর এবার আলমারির ভিতর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেল ১১ বছরের মেয়েকে। তারপর থেকেই উত্তপ্ত গোটা এলাকা।
১১ বছরের নাবালিকার রহস্যমৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত ভবানীপুরের বিদ্যাসাগর কলোনি। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল সৎ মা ও বাবার দিকে। সৎ মা (মাসি) ও বাবার বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ স্থানীয়দের। নাবালিকার উপর অত্যাচার নিয়ে মুখ খুলেছেন ওই নাবালিকার গৃহশিক্ষিকাও। তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, ওই নাবালিকার উপর শারীরিক ও মানসিক , সবরকম অত্যাচারই চলত। তাঁর কথায়, ‘শারীরিক অত্যাচারটা হত পড়াশোনা নিয়ে, আর মানসিক অত্যাচার হত সব কিছু নিয়ে। দিনের পর দিন মারধর করা হত। খেলতে যেতে দিত না। রাতভর জাগিয়ে রেখে পড়াশোনা করানো হত ওইটুকু মেয়েকে। রাত্রিবেলা ২টো-৩টে অবধি পড়াচ্ছে! পড়া না পারলে, দেওয়ালে মাথা ঠুকে দিচ্ছে! রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা অবধি পড়াচ্ছে! পরীক্ষায় রেজাল্ট খারাপ হলেও চলত মারধর, অত্যাচার। বাবা-মা মারত।”
উল্লেখ্য, ওই নাবালিকার ঠাকুমা আগেই অভিযোগ করেছেন যে,দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই বদলে যায় ছবিটা। নাতনিকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দিতেন না। নাতনি তাঁর কাছে আসতে চাইত। কিন্তু কিছুতেই কাছে আসতে দিত না। তাঁর কথায়, ‘ওরা আলাদা থাকত, আমাকে বাড়িতে ঢুকতে দিত না। মেয়েটা আসতে চাইত, কিন্তু সব সময় দূরে দূরে রাখত।’ নাতনিকে বেল্ট দিয়ে পেটানো হত বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী সঞ্জয় রায়ের ভাগ্নি ১১ বছরের নাবালিকা ওই কিশোরী। সঞ্জয় রায়ের বড় দিদি ববিতার মেয়ে ছিল সে। ববিতার মৃত্যুর পর তাঁর বোন, অর্থাৎ সঞ্জয় রায়ের ছোট বোন পূজাকে বিয়ে করেন ববিতার স্বামী।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)