অর্কদীপ্ত মুখোপাধ্যায়: ভোটার তালিকায় নাম বিভ্রাট। তা মেটাতেই ২৬ ডিসেম্বর (SIR hearing) থেকে শুরু হচ্ছে মেগা শুনানি, নোটিশ যাচ্ছে বাড়ি বাড়ি। আর এই আবহেই প্রশ্ন উঠছে, যারা বয়স্ক এবং আশি ঊর্ধ্ব, অথবা অশীতিপর, তাঁরা কী ভাবে যাবেন হিয়ারিঙে? তাহলে কি তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় উঠবে না? আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন থেকে কি তাঁরা বাদ? সারা রাজ্যের সব বয়স্ক ভোটারদের মনেই এই প্রশ্ন। তাই নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বয়স্কদের হিঙারিয়ে এর অভিনব পন্থা নেবে। কিন্তু কী সেই পন্থা? উত্তাল SIR আবহে এই নিয়ে কি নতুন রাজনীতির আখ্যান রচিত হবে? সব প্রশ্নের সমাধান করে দিন কমিশন।
করোনা কালে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যাদের বয়স ৮০ বছর এবং তার ঊর্ধ্বে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে ভোট গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। আর সেই সময় থেকেই নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেয় যাদের বয়স ৮৫ বছর বা তার ঊর্ধ্বে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে ভোট নেবে কমিশন। আর এবার এস আই আর এর সময় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে যাদের বয়স ৮৫ বছর এবং তার ঊর্ধ্বে এবং যদি সংশ্লিষ্ট এই সকল ব্যক্তিদের হিয়ারিং ডাকার প্রয়োজন হয়, তাহলে এই সকল ব্যক্তিদের বাড়িতে গিয়েই হিয়ারিং করবে নির্বাচন কমিশন। বর্তমানে রাজ্যে ৮৫ এবং তার ঊর্ধ্বে ব্যক্তিদের সংখ্যা ২,২২,৬৯৬ জন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়াল নির্বাচন কমিশনে চিঠি লিখে পাঠিয়েছেন, যাতে রাজ্যে থাকা ৮৫ বা তার ঊর্ধ্বে ব্যক্তিদের বাড়িতে গিয়ে যাতে হিয়ারিং করা যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য। অপেক্ষা এখন শুধুই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ আসার। তবে সংশ্লিষ্ট এই সবাইকেই যে হিয়ারিং এ ডাকা হবে এমনটা নয়। যেখানে যেখানে নির্বাচন কমিশন মনে করবে সেখানেই এই সকল ব্যক্তিদের বাড়িতে গিয়ে নির্বাচন কমিশন হিয়ারিং করবে।
পশ্চিমবঙ্গের খসড়া ভোটার তালিকা বা SIR (Special Intensive Report) প্রকাশের পর রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রায় ৫৮ লক্ষ ভোটারের নাম খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। অনেক জীবিত ভোটারের নাম ‘মৃত’ তালিকায় ওঠা বা তথ্যে অসঙ্গতি থাকার মতো গুরুতর অভিযোগও সামনে এসেছে। এই পরিস্থিতির সমাধানে এবার শুরু হচ্ছে ‘SIR’-এর দ্বিতীয় ধাপ অর্থাৎ গণ-শুনানি বা হিয়ারিং পর্ব। দেশের বড় রাজ্যগুলোর মধ্যে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে সময়ে শেষ হয়েছে SIR। বাকি রাজ্যগুলি বাড়তি সময় চেয়েছে। অর্থাৎ কমিশন BLO দের মাধ্যমে গোটা প্রক্রিয়া সঠিক সময় দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে। এত বড় মাপের কাজে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু ত্রুটি থেকে গেছে। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর আজ থেকে শুনানি প্রক্রিয়ার প্রাথমিক ধাপ অর্থাৎ বাড়ি বাড়ি হিয়ারিং লেটার পাঠানোর কাজ শুরু হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত শুনানির সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস পর্যন্ত হিয়ারিং চলবে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)
