বিক্রম দাস: যুবভারতী কাণ্ডে বড় আপডেট। SIT তদন্তে উঠে এল যুবভারতীতে মেসির ‘গোট-দ্য়া ইন্ডিয়া ট্যুর’-এর জন্য ১৬ কোটি টাকারও বেশি টাকায় টিকিট বিক্রি হয়েছে। সংখ্যার বিচারে প্রায় ৩০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। এবার সেই টিকিটের টাকা ফেরতের বিষয়ে আইনি সহায়তা নিতে শুরু করল পুলিস। কীভাবে আইনি পথে টাকা ফেরত দেওয়া যায়, সেই প্রক্রিয়া শুরু করল পুলিস।
প্রসঙ্গত, ১৩ ডিসেম্বর মেসি ইভেন্টে বিপর্যয়ের পরই ডিজি রাজীব কুমার সাংবাদিক বৈঠক করে সমস্ত টিকিটের টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর জল অনেক দূর গড়িয়েছে। যুবভারতী কাণ্ডে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। রাজ্য়ের তরফে শোকজ করা হয়েছে খোদ রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমার থেকে ক্রীড়া সচিবকে। ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অরূপ বিশ্বাস। ঘটনার দিনই চূড়ান্ত অব্যবস্থা ও বিশৃঙ্খলার তদন্তে মুখ্য সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে রেখে এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, পীয়ূস পাণ্ডে, জাভেদ শামিম, সুপ্রতীম সরকার ও মূরলীধর শর্মা- ৪ আইপিএসকে নিয়ে গঠন করা হয় সিটও।
সেই সিটের জেরায় বিস্ফোরক আয়োজক সংস্থার প্রধান শতদ্রু দত্ত। শতদ্রু দত্তের কাছে সিট জানতে চায়, গোটা ইভেন্টের কী কী পরিকল্পনা ছিল? নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কী প্ল্যানিং ছিল? এই সব বিষয় নিয়ে কাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল? পুলিসের সাথে কী কী মিটিং হয়েছিল? ডিসি অনীশ সরকারের সঙ্গে শিডিউল নিয়ে আলোচনা হয়েছিল কিনা? বেশ কিছু ইভেন্টের সময়সূচি পরিবর্তন কার নির্দেশে হয়েছিল? মেসির মাঠে ঢোকার সময়, দেওয়া তালিকা ছাড়াও এত লোক কার নির্দেশে ঢুকেছিল? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার আগেই মেসিকে মাঠে নামিয়ে আনার পরিকল্পনার পিছনেই বা কার নির্দেশে ছিল বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে জেনেও কেন মাঠে এত ভিড় বাড়ানো হল?
সূত্রের খবর, সিটের তদন্তকারী অধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদে শতদ্রু দত্ত সিটকে ‘প্রভাবশালীর চাপে’র কথা জানান। শতদ্রু দত্ত সিটকে জানান যে, প্রথমে দেড়শো জনের গ্রাউন্ড অ্যাক্সেস কার্ড করা হয়েছিল। কিন্তু পরে ‘প্রভাবশালীর চাপে’ এই সংখ্যাটাকে তিনগুণ বাড়াতে হয়েছিল। পিঠে হাত দেওয়া বা জড়িয়ে ধরা এগুলো একদমই পছন্দ হয়নি মেসির। মেসি তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক, যে বিদেশ থেকে এসেছিল, তাকে গোটা বিষয়টা জানায়। সেই ব্যক্তি শতদ্রু দত্তকে মাঠের মধ্যেই গোটাটা জানায়।
তিনি জানান, এরপরই তিনি মাঠ খালি করার জন্য মরিয়া চেষ্টা করেন। বার বার অ্যানাউন্সমেন্ট করতে থাকেন, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। পাশাপাশি, সিটকে শতদ্রু দত্ত আরও জানিয়েছেন যে ভারত সফরের জন্য মেসিকে ৮৯ কোটি টাকা দেন তিনি। আর ১১ কোটি টাকা ভারত সরকারকে ট্যাক্স বাবদ দেন। এই ১০০ কোটি টাকার মধ্যে ৭০ শতাংশ টাকাই স্পন্সরদের কাছ থেকে এসেছে। আর বাকি ৩০ শতাংশ আসে টিকিট বিক্রি করে।
আরও পড়ুন, Mamata Banerjee: চাইলে আমার গলাটাও কেটে দিতে পারো, কিন্তু আমি… বাংলা জিতে দিল্লি কাড়ব: মমতা
আরও পড়ুন, Bangladesh Student Leader Shot: হাদির পর সিকদার! নৈরাজ্যের বাংলাদেশে ফের এক ছাত্রনেতার মাথায় গুলি!
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)
