Jalpaiguri Fake Doctor : পুঁথিগত বিদ্যা মাত্র দ্বিতীয় শ্রেণি (Class 2) পর্যন্ত! যদিও নিজেকে এলাকায় চিকিৎসক বলে পরিচয় দিয়েছিলেন ব্যক্তি। কিন্তু, বেশিদিন নিজের আসল পরিচয় চেপে রাখতে পারলেন না। অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন।
হাইলাইটস
- ক্লাস 2 পর্যন্ত পড়ে নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়েছিলেন ব্যক্তি
- ডুয়ার্সের বানারহাট এলাকায় এক বিশেষভাবে সক্ষম শিশুর চিকিৎসা করতে গিয়ে ধরা পড়ে যান
- নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ওই ভুয়ো চিকিৎসক
ঠিক কী হয়েছিল?
ঘটনাটি সামনে আসে এক শিশুর চিকিৎসাকে কেন্দ্র করে। জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের গয়েরকাটার সুভাষ পল্লির বাসিন্দা বিশ্বজিৎ রায়ের বছর ৬ এর ছেলে ঋষি রায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। বিশ্বজিৎ বাবু বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন ছেলের চিকিৎসার জন্য। তারপরও ছেলেকে সুস্থ করতে পারেননি। যে কারণে মানসিক ভাবেও চাপে ছিলেন তিনি। এরই সুযোগ নিয়ে বিশ্বজিৎ বাবুর সুভাষ পল্লির বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন এই ভুয়ো আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক।
এদিন বিশ্বজিৎ রায় বলেন, “কোনও ভাবে এই খবর পেয়ে বাড়িতে আসেন এই ব্যক্তি। নিজেকে চিকিৎসক বলে পরিচয় দিয়ে ছেলেকে পরীক্ষা করে প্রেসক্রিপশন করেন। এবং তিনটি ওষুধের নাম লিখে ২৮০০০ হাজার টাকা দাবি করেন। তাতেই আমাদের সন্দেহ হয়। তখন তাঁর আই কার্ডের নাম ও ডিগ্রি দিয়ে ওয়েব সাইটে সার্চ করি। সেখানে মিসম্যাচ দেখানোয় ওষুধ নেওয়ার অছিলায় বাইরে এসে পাড়া প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানাই। এরপর তাঁরা এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ওই ব্যক্তি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এবং ক্যামেরার সামনে তিনি স্বীকার করেন তিনি ভুয়ো ডাক্তার। তিনি ক্লাস টু পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।”
ধরা পড়ার পর সাফাই ভুয়ো চিকিৎসকের
এলাকার বাসিন্দারা ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন এই ভুয়ো ডাক্তারকে। বিন্নাগুড়ি পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এদিকে নিজের আসল পরিচয় জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর রংবাজ শেখ কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, “আমি ডাক্তার নই। কোনও মিথ্যে কথা বলছি না। আসলে পেটের দায় এই সব করেছিলাম। একটি কম্পিউটার সেন্টার থেকে আমার নাম লেখা ডিগ্রি দিয়ে একটা প্রেশক্রিপশন তৈরি করেছিলাম। সেটা দেখিয়েই সবাইকে বলতাম আমি ডাক্তার।” হাতজোড় করে একথা জানিয়েছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ