Produced by Suman Majhi | Ei Samay | Updated: 16 Nov 2022, 11:03 am

West Bengal News : তিন বছরের শিশুকে খুনের ঘটনায় চিকিৎসক ৫০০ টাকার বিনিময়ে ডেথ সার্টিফিকেটে ‘নিউমোনিয়া’ লিখে দিয়েছিলেন। তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসকের নাম বি বর্ধন।

 

শিশু মৃত্যু

হাইলাইটস

  • আনন্দপুরে তিন বছরের শিশুকে খুনের ঘটনায় চিকিৎসক ৫০০ টাকার বিনিময়ে ডেথ সার্টিফিকেটে ‘নিউমোনিয়া’ লিখে দিয়েছিলেন।
  • তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ।
  • তিন বছরের শিশুটিকে খুনের ঘটনায় তার বাবা বিজয় মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
এই সময়: আনন্দপুরে তিন বছরের শিশুকে খুনের ঘটনায় চিকিৎসক ৫০০ টাকার বিনিময়ে ডেথ সার্টিফিকেটে ‘নিউমোনিয়া’ লিখে দিয়েছিলেন। তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসকের নাম বি বর্ধন। তিনি ওই এলাকায় হোমিওপ্যাথির চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত। অভিযুক্ত চিকিৎসকের বয়স প্রায় সত্তর বছর। তিন বছরের শিশুটিকে খুনের ঘটনায় তার বাবা বিজয় মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। জেরায় উঠে এসেছে, তিনি বাড়িতে একা মদ খাওয়ার সময়ে শিশুটি বারবার কেঁদে উঠছিল। সেই কারণে তিনি শিশুটিকে সজোরে চড় মারেন। তাতেই শিশুটি অচৈতন্য হয়ে পড়ে। কিন্তু ওই চিকিৎসক কেন শিশুটিকে দেখে বুঝতে পারলেন না তাকে আঘাত করা হয়েছে, তা নিয়েই ধন্দে তদন্তকারীরা। ওই চিকিৎসককেও গ্রেপ্তার করা হতে পারে।

Anandapur News: মদ্যপানের সময় সন্তান ডাকাডাকি করায় রাগ? আনন্দপুরে ৩ বছরের শিশুকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার বাবা
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসকের লেখা প্রেসক্রিপশন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে তাঁর হাতের লেখাও পরীক্ষা করে দেখা হতে পারে। এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘ওই চিকিৎসক প্রবীণ। তাই সব দিক খতিয়ে দেখে উপযুক্ত প্রমাণ নথি সংগ্রহের পরেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তদন্তকারীরা জানান, নিজের অপরাধ আড়াল করার জন্য ওই শিশুর বাবা চিকিৎসককে বেশি টাকা দিয়ে ডেথ সার্টিফিকেট দিতে বাধ্য করেছিলেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Kolkata News : কবর থেকে তুলে শিশুর ময়নাতদন্ত, শরীরে আঘাত এল কী ভাবে?
West Bengal News: একরত্তি রেললাইনে ফেলে রেখে মারার চেষ্টা, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ শিশুর বাবার বিরুদ্ধে
দিনকয়েক আগে আনন্দপুর থানায় তিন বছরের এক শিশুকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বাবা বিজয় মণ্ডলের বিরুদ্ধে। কিন্তু ছেলের মৃত্যুর পরে বিজয় বলেছিলেন, তাঁর ছেলে জলের গামলায় পড়ে মারা গিয়েছে। ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে বিজয় আর তাঁর স্ত্রী সোনি মিলে গোবরা কবরস্থানে শিশুটিকে কবরও দিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু শিশুর দিদিমা মিনা বিবি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তাঁর নাতিকে খুন করেছে তাঁরই জামাই। এরপরে কবর থেকে শিশুটির দেহ তুলে ময়না তদন্তে পাঠানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ। রিপোর্টে প্রমাণ মেলে শিশুটিকে মারধরের।

আশপাশের শহরের খবর

Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version