এই সময়: দুর্গাপুজোর (Durga Puja) আগেই খুলে দেওয়া হয়েছে নতুন টালা সেতু। কিন্তু পুরোনো ভগ্নপ্রায় সেতুর তলা থেকে যে পরিবারগুলিকে সরানো হয়েছিল, ঘোষণা অনুযায়ী তাদের পুনর্বাসন এখনও হয়নি। টালা সেতু (Tala Bridge) থেকে সরিয়ে চিৎপুর রেল ইয়ার্ড পর্যন্ত যে ৯০০ মিটার রাস্তা রয়েছে, উচ্ছেদের পরে সেখানে তিন মাসের জন্য থাকতে দেওয়া হয়েছিল পরিবারগুলিকে। তারপরে বহু মাস কেটে গেলেও এখনও ওই রাস্তাতেই আছেন তাঁরা। যার জেরে সমস্যা পোহাতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের।

Santragachi Bridge: সংস্কারের জন্য সাঁতরাগাছি ব্রিজে যান নিয়ন্ত্রণ, বন্ধ থাকবে কলকাতামুখী লেন
টালা সেতু (Tala Bridge) থেকে চিৎপুর রেল ইয়ার্ড যাওয়ার রাস্তাটি চওড়ায় ১৬ ফুট। কিন্তু ওই ২৪টি পরিবারের জন্য বিকল্প বাসস্থান তৈরির ফলে রাস্তার প্রস্থ কমে হয়েছে ৭ ফুট। এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দাদের অভিযোগ, পথ এতটাই সঙ্কীর্ণ হয়ে গিয়েছে যে আগুন লাগলে দমকলের গাড়ি পর্যন্ত ঢুকতে পারবে না। এ দিকে অনেকেরই বাড়িতে প্রবীণ সদস্যরা আছেন। আচমকা কেউ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছবে কী করে, সে প্রশ্নও উঠছে। এলাকার এক বাসিন্দার কথায়, “বলা হয়েছিল, ব্রিজের কাজ শুরুর আগেই ২৪টি পরিবারকে সরানো হবে। কিন্তু এখনও কিছু হয়নি। কবে সরানো হবে, তা-ও কেউ নিশ্চিত করে বলছেন না।” স্থানীয় বরো অফিস থেকে শুরু করে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)- সমস্যার কথা জানালেও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ।

Bankura News : কাটল জমিজট, রানিগঞ্জের গাইঘাটায় নতুন সেতু নির্মাণ!
সেতুর কাজ শেষ হলে আগের মতোই ব্রিজের তলায় ফিরে যেতে চান বলে ওই ২৪টি পরিবার আর্জি জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাদের কাছে। কিন্তু স্থানীয় সূত্রে খবর, পরিবারগুলি বসবাস শুরু করলে সেতুর স্বাস্থ্য ফের খারাপ হতে পারে, তাই সেখানে ফিরতে দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন। একটি পরিবারের সদস্য দেবাশিস মণ্ডল বলেন, “বিকল্প জায়গা পেলেই আমরা সরে যেতে প্রস্তুত। কিন্তু কেউ কিছু বলছেন না।” প্রফুল্ল মণ্ডল নামে আর এক বাসিন্দার বক্তব্য, “শুনেছি খালধারের পাশে ফ্ল্যাট তৈরি করে দেওয়া হবে। সেটা কবে হবে, কেউ জানে না।”

Mizoram Stone Quarry Collapse : মিজোরামে পাথর খাদানে আচমকা ধস, মৃত নদিয়ার ৩ যুবক
টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হয় ২০২০-র ফেব্রুয়ারিতে। প্রশ্ন উঠেছে – কেন এখনও সরানো গেল না ওই ২৪ টি পরিবারকে? স্থানীয় সূত্রে খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারের নীতি হলো, কাউকে জোর করে সরানো যাবে না। ফলে বিকল্প বাসস্থান তৈরির আগে ওই ২৪টি পরিবারকে সরানো যাচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বস্তি) স্বপন সমাদ্দার মঙ্গলবার বলেন, “এলাকার বরো চেয়ারম্যান তরুণ সাহাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই বিকল্প বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version