Produced by Suman Majhi | Ei Samay | Updated: 26 Nov 2022, 9:49 am

কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর (Pralhad Joshi) সঙ্গে কয়লা কারবারে অভিযুক্ত জয়দেব খাঁয়ের (Joydeb Khan) ছবি ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হলো রাজনৈতিক মহলে। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের একটি হোটেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই। তাঁদের সঙ্গেই দেখা গিয়েছে জয়দেবকে। এদিন সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই টুইট করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

 

ছবি সৌজন্যে- twitter@kunalghosh

হাইলাইটস

  • কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর সঙ্গে কয়লা কারবারে অভিযুক্ত জয়দেব খাঁয়ের ছবি ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হলো রাজনৈতিক মহলে।
  • তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ কয়লা কারবারের একাধিক মামলা রয়েছে।
  • ছবি প্রকাশ্যে আসতেই টুইট করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
এই সময়, দুর্গাপুর: কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর সঙ্গে কয়লা কারবারে অভিযুক্ত জয়দেব খাঁয়ের ছবি ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হলো রাজনৈতিক মহলে। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের একটি হোটেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই। তাঁদের সঙ্গেই দেখা গিয়েছে জয়দেবকে। তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ কয়লা কারবারের একাধিক মামলা রয়েছে। এদিন সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই টুইট করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। ছবিটি পোস্ট করে কুণাল জানান, কয়লামন্ত্রীর সঙ্গে ওই ব্যক্তি কে? ওই ব্যক্তি কয়লামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে কেন এসেছিলেন? বিজেপির কাছে প্রশ্ন ছুড়ে জানতে চান কুণাল। ছবিতে থাকা লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের কাছে এ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘প্রহ্লাদ যোশীর সঙ্গে আমি যাওয়ার আগেই কয়লা সংক্রান্ত বিষয়ে মিটিং করছিলেন জয়দেব খাঁ ও দীপেন মুখোপাধ্যায়। আমি সেখানে গিয়েছিলাম এলাকার বিষয়ে কথা বলতে। আমার সঙ্গে ওঁদের কোনও সম্পর্ক নেই।’
Coal Smuggling : ‘কয়লা চুরি রুখতে রাজ্যকে সহযোগিতা করতে হবে’, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
এদিকে এদিনই কয়লা চুরি রুখতে রাজ্য পুলিশ পদক্ষেপ করে না বলে ঘুরিয়ে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী। দু’দিনের রাজ্য সফরে দুর্গাপুরে এসেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার পাণ্ডবেশ্বরের শোনপুরবাজারি খোলামুখ খনি পরিদর্শনের সময় তিনি জানান, অবৈধ খনন বন্ধ করতে রাজ্য পুলিশের আরও তৎপর হওয়া উচিত। বলেন, ‘অবৈধ কয়লা পাচারকারীদের সিআইএসএফ ধরলেও রাজ্য পুলিশ এফআইআর করে না। অবৈধ কয়লা খনন বা বেআইনি ভাবে চলা মাইনিং বন্ধের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। খনিজ সম্পত্তি রাষ্ট্র ও রাজ্যের সম্পদ। এই সম্পত্তি নষ্ট করা উচিত নয়।’ পরক্ষণেই অবশ্য মন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুধু এই রাজ্যের সরকারের কথা বলছি না। সমস্ত রাজ্য সরকারের কথাই বলছি। কারণ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব থাকে রাজ্যের হাতে।’

Abhishek Banerjee : কয়লা মাফিয়ার সঙ্গে এক ফ্রেমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী! বিস্ফোরক টুইট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন ‘খনিজ সম্পদ রাষ্ট্রের ও রাজ্যের মম্পত্তি। এই সম্পত্তি নষ্ট করতে দেওয়া উচিত নয়।’ তাঁর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পাণ্ডবেশ্বরে তৃণমূলের স্থানীয় বিধায়ক ও ইসিএলের প্রাক্তন কর্মী নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘খনি এলাকায় যে থানাগুলি রয়েছে, সেখানে কেউ দেখে যাক অবৈধ কয়লা পাচারে কতগুলি মামলা হয়েছে। সিআইএসএফ কি ঘুমিয়ে রয়েছে? ইসিএলের সিএমডি ও জিএমকে আমি চিঠি লিখেছিলাম। খনির গেট দিয়ে যখন কয়লা বোঝাই গাড়ি বার করে, সেখানে সিআইএসএফ মোতায়েন করা হোক কিন্তু, তা করা হয়নি।’

আশপাশের শহরের খবর

Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version