স্থানীয় সূত্রে খবর, কাকদ্বীপের একটি ছাত্রী নিবাসে শট সার্কিটের কারণে তড়িতাহত হয় ১০ ছাত্রী। তাদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ পাঁচজন ছাত্রী। তড়িঘড়ি ওই ছাত্রীদেরকে ভর্তি করা হয় কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Kakdwip Super Speciality Hospital)। সূত্রের খবর, শনিবার রাত পৌনে দশটা নাগাদ যখন তারা খেতে যায়, সেই সময় ওয়ারিংয়ের তার ছিঁড়ে গ্রিলের উপর পড়ে। সেই তার থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রিলে ছড়িয়ে পড়ে। গ্রিলে হাত লাগতেই তড়িতাহত হয়ে পড়ে ছাত্রীরা। তাদের মধ্য়ে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর দেওয়া হয় কাকদ্বীপ থানায় (Kakdwip Police Station)। ঘটনাস্থলে আসে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ। আবাসন কর্তৃপক্ষের একজন বলেন, আবাসনে মোটর চালানো ছিল, সেখান থেকে কোনওভাবে শট সার্কিট হয়ে হয়েছে। বিদ্যুৎ ছড়িয়ে পড়ার কারণে কয়েকজন তড়িতাহত হয়ে যায়। প্রত্যেককেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা কৃষ্ণ দাস জানান, হঠাৎ করেই মেয়েদের চিৎকার চেঁচামিচির আওয়াজ শোনা যায়। তাদের চিৎকারের আওয়ায় শুনে ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। দেখা যায়, বেশ কয়েকজন ছাত্রী তড়িতাহত হয়ে পড়েছেন। মনে করা হচ্ছে, শট সার্কিটের কারণেই এরকম ঘটনা ঘটেছে। সঙ্গে সঙ্গে আবাসনে ঢোকার তোড়জোড় শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। আবাসনের গেট তখন বন্ধ ছিল। কোনওরকমে আবাসনের ভেতরে ঢোকে স্থানীয় বাসিন্দারা। বাইরে বিদ্যুতের দুটি ট্রান্সফরমার ছিল। সে দুটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ছাত্রীদের উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। গোটা ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ (Kakdwip Police Station)। কীভাবে এত জন ছাত্রী তড়িতাহত হল সে ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। আবাসন কর্তৃপক্ষের কোনও গাফিলতি ছিল কিনা সে ব্যাপারেও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শট সার্কিটের কারণেই বিদ্যুৎ ওই লোহার গ্রিলে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে ছাত্রীরা হাত দেওয়ার ফলেই সবাই তড়িতাহত হয়। তাদেরকে কয়েকজন বাঁচাতে গেলে বাকিরাও তড়িতাহত হয়ে যায়।