বিভিন্ন সময়ে কেশপুরের (Keshpur) গোষ্ঠীকোন্দল তৃণমূলের (Trinamool Congress) মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছ। গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আগে আজ আরও একবার গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের এই ব্লক। রাজ্যের পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা (Seuli Saha) গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন কর্মী সমর্থকরা। নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেবে তৃণমূল নেতৃত্ব, সেটাই এখন দেখার।
হাইলাইটস
- পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে দলীয় কোন্দলের জন্য ভেস্তে গেল তৃণমূলের বৈঠক
- আগামী বছর রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন
- গোষ্ঠী কোন্দল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মাথাব্যথার প্রধান কারণ
দলীয় অফিসে তৃণমূলকর্মীদের এই বিক্ষোভ ঘিরে স্থানীয় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। দলীয় বৈঠকে এই ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে তা আন্দাজ করে আগেভাগে দলীয় কার্যালয় চত্বরে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। দলীয় নেতৃত্বকে ঘিরে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বৈঠক এমন পর্যায়ে পৌঁছয়, যে শেষমেশ বৈঠক বাতিল করে দিতে বাধ্য হন তৃণমূল নেতৃত্ব।
বিভিন্ন সময়ে শাসকদলের দলীয় কোন্দলে হয়েছে কেশপুর। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে ঝড়েছে রক্তও। হাজার চেষ্টা করেও কোন্দলে রাশ টানতে পারেনি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত নির্বাচন সামনে আসতে সোমবার আরও একাবার অভ্যন্তরীণ কোন্দলে তৃণমূলের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াল। এমনকী সাম্প্রতিক অতীতেও গোষ্ঠীকোন্দলে অশান্ত হয়ে উঠেছিল কেশপুর। কেশপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহার গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন শাসকদলের কর্মী সমর্থকরা। দলীয় নেতৃত্বের তরফে ক্ষোভ মেটানোর বার্তা দেওয়া হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। দলরে নিচু তলার কর্মীদের মতোবিরোধের কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা মহম্মদ রফিক।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই এলাকায় এলাকায় প্রচারে নেমে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় সভা সমাবেশ থেকে যখন কার্যত সব আসনে জেতার কথা শোনা যাচ্ছে, তখন একের পর এক গোষ্ঠীকোন্দল ঘাসফুল নেতাদের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট বণ্টন শুরু হলে কোন্দল যে আরও চরম পর্যায়ে পৌঁছতে পারে সেকথা জানেন নেতারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে তারা কী পদক্ষেপ নেন, সেটাই দেখার।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ