পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ন’মাস আগে মালদার বাসিন্দা সুজাতার সঙ্গে মিঠুনের বিয়ে হয়েছিল। সুজাতার আগেও একবার বিয়ে হয়েছিল এবং তাঁর একটি সন্তানও রয়েছে। বিয়ের বেশ কিছুদিন পর থেকে সংসারে শুরু হয় চরম অশান্তি। মিঠুনের সঙ্গে সুজাতার সঙ্গে তাঁর বাবার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে পাড়াপড়শিদের জানিয়েছিল মিঠুন। এই নিয়ে অশান্তির জেরে সুজাতাকে মারধরও করা হত বলে জানা গিয়েছে। পারবারিক অশান্তি মেটাতে শনিবার রাতে সালিশি সভা হয়েছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
শনিবার রাতে কাজলের মৃতদেহ উদ্ধার হতেই এলাকা চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে মাথাভাঙা থানার IC ভাস্কর প্রধানের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। তাঁর স্বামী যে শ্বশুরকে খুন করেছে, পুলিশি জেরার মুখে সে কথা স্বীকার করে নেয় সুজাতা।
সুজাতা এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “ভোররাতে আমার স্বামী আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলেছিল। তখন দেখি শ্বশুরকে খুন করেছে। কখন খুন করেছে, কী দিয়ে খুন করেছে আমি বলতে পারব না। আমার সঙ্গে শ্বশুরের সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করত। আমার আগের বিয়ে নিয়েও আমাকে নানা প্রশ্ন করত। আমাকে মারধরও করত।”
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, “প্রতিনিয়ত নানা ইস্যুকে কেন্দ্র করে বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকত। সুজাতাকে মিঠুন মারধরও করত। শনিবার সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু, সে যে নিজের বাবাকে খুন করবে, এটা আমার ভাবতে পারছি না।”
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবর পাওয়ার জন্য ক্লিক করুন… কোচবিহারের খবর পাবেন এই লিঙ্কে। প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল।