জানা গিয়েছে, এই পদযাত্রায় চা শ্রমিকরা প্রতিদিন কুড়ি কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবেন। পথেই তাঁদের প্রাতঃরাশ থেকে শুরু করে মধ্যাহ্নভোজন এবং নৈশভোজন সহ রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিনের এই পদযাত্রায় এলাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঁচ শতাধিক তৃণমূল সমর্থিত চা শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন। এনিয়ে আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক বলেন, ‘‘এটা লোকসভা, বিধানসভা বা পঞ্চায়েত ভোটের জন্য নয়, শ্রমিকদের স্বার্থে আমরা লডছি৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চা শ্রমিকদের নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন৷’’ এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক বলেন, ‘‘প্রচুর মানুষ চা বাগানে কাজ করেন৷ সকলেরই প্রভিডেন্ট ফান্ড নিয়ে সমস্যা হচ্ছে৷ আমরা জমায়েত হয়ে ১৩ তারিখ জলপাইগুড়ি প্রভিডেন্ট ফান্ড অফিস ঘেরাও করব৷ এই চা বাগান শ্রমিকরা ভোট দিয়ে জন বার্লাকে সাংসদে পাঠিয়েছেন৷ আর মন্ত্রী হওয়ার পর উনি ভুলে গেলেন চা বাগানের শ্রমিকদের৷’’
তৃণমূল চাষ শ্রমিক সংগঠনের পদযাত্রা নিয়ে BJP র আলিপুরদুয়ার জেলা সাধারণ সম্পাদক মিঠু দাস বলেন, ‘‘তৃণমূল নিজেদের দোষ ঢাকতে এবং চা বাগানের শ্রমিকদের বোকা বানাতে এই পদযাত্রা করছে। প্রভিডেন্ট ফান্ডের সমস্যা নিয়ে ইতিমধ্যেই দফতরের তরফে বিভিন্ন চা বাগান মালিকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের পুলিশ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনও রকম পদক্ষেপ করছে না।’’ তাঁর দাবি এটা রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা, এরা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে এসব করছে৷ অসমে চা বাগানের শ্রমিকরা অনেক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে৷ অথচ এখানে রাজ্য সরকার তাদের সেইসব সুযোগ থেকে বঞ্চিত রাখছে৷ এতে কোনও লাভ হবে না বলেও দাবি করেন তিনি৷
এদিন এই কর্মসূচির সূচনাতে উপস্থিত ছিলেন আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক, তৃণমূল চাষ শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি বীরেন্দ্র বাড়া, আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক, ইটাহারের বিধায়ক মোশাররফ হোসেন, ডুয়ার্স টি ওয়ার্কার্স প্ল্যান্টেশন ইউনিয়নের গঙ্গা প্রসাদ শর্মা, INTTUC র জেলা সভাপতি বিনোদ মিঞ্জ সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা