এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) সরাসরি বলেন, ”সকাল থেকে হোয়াটস অ্যাপে ভুয়ো প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আমরা সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করে দেখি পুরোটাই ভুয়ো। পর্ষদকে সঙ্গে সঙ্গে সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ জানাতে বলেছি।” এখানেই শেষ নয়, তিনি বলেন, ”একধরনের অন্তর্ঘাত, ষড়যন্ত্র চলছে যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার এই পরীক্ষা সফলভাবে না নিতে পারে। সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কোথাও কোনও প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। সাইবার ক্রাইম খতিয়ে দেখছে অভিযোগ।”
পরীক্ষার আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে গৌতম পাল বলেছিলেন, ”পর্ষদের কাছে এবং প্রশাসনের কাছে সুনির্দিষ্ট খবর আছে কেউ কেউ এই পরীক্ষা ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটাতে চাইছে। আমার কাছে অনেক মেসেজ এসেছে। তবে আমি নির্দ্বিধায় বলছি প্রশাসন অবগত আছে। প্রশাসন সতর্ক আছে। তার সঙ্গে পর্ষদও অবগত ও সচেষ্ট। কোনও পরীক্ষার্থী যদি আমাদের পরীক্ষাবিধি ঠিকমতো পালন না করে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করে বা বাইরের কোনও ব্যক্তি বিঘ্ন ঘটাতে চান, আমরা প্রশাসনের কাছে কঠোরতম শাস্তির সুপারিশ করব।”
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন, দশ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র ও উত্তর জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করে পরীক্ষা শুরুর আগে পাঁচ লাখ ও পরীক্ষা শেষের পরে পাঁচ লাখ টাকা চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, ”রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কেন সেই নম্বর প্রকাশ করছেন না। আমরা তদন্ত করে দেখব। তিনি তো এরাজ্যেরই বিরোধী দল নেতা। তিনি কি চান না সুস্থভাবে পরীক্ষা হোক।”
অন্যদিকে, পর্ষদের নির্দেশ মেনে টেট পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময় পরিচয় পত্র, আবেদনের সময় আপলোড করা ছবির কপি দেখে ভেতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে পাশাপাশি বায়মেট্রিক ও আইডি কার্ড যাচাই করা হচ্ছে। মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চলে চেকিং। ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ব্লু টুথ ,ইয়ার ফোন, ক্যামেরা, ডিজিটাল ঘড়ি নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। বারোটা থেকে শুরু হয় পরীক্ষা। তার জেরে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত পরীক্ষা কেন্দ্র আশপাশের সব জেরক্সের দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।