জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লাল বলের ক্রিকেটে শতরান করা যেন ‘জলভাত’-এর মতো। দেখতে দেখতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের ২০তম শতরান সেরে ফেললেন অভিমন্যু ঈশ্বরন (Abhimanyu Easwaran)। তবে এবারেরটা তাঁর কাছে স্পেশাল। কারণ নিজের নামাঙ্কিত স্টেডিয়াম, অভিমন্যু ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (Abhimanyu Cricket Academy) উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) বিরুদ্ধে ১৪১ রানে অপরাজিত রইলেন বাংলার ওপেনার। তাঁর দাপুটে ইনিংসের সৌজন্যে প্রথম দিনের শেষে ৩ উইকেটে ২৬৯ রান তুলে ফেলেছে। একইসঙ্গে এই ইনিংস খেলে টানা পাঁচটি শতরান করলেন অভিমন্যু। ফেব্রুয়ারি-মার্চে টিম ইন্ডিয়ার (Team India) বিরুদ্ধে চারটি টেস্ট খেলবে অস্ট্রেলিয়া (Australia)। ফর্মের তুঙ্গে থাকা অভিমন্যু কিন্তু টেস্ট দলে জায়গা ধরে রাখার দাবি জানিয়ে রাখলেন।
বিজয় হাজারে ট্রফির (Vijay Hazare Trophy) শেষ ম্যাচে শতরান করেছিলেন অভিমন্যু। রাঁচীতে সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে সেই শতরান দিয়ে শুরু। এরপর বাংলাদেশে গিয়ে ভারত ‘এ’ দলের হয়ে পর পর দু’টি ম্যাচে শতরান করেন তিনি। এর পর দেশে ফিরে বাংলার হয়ে রঞ্জি দলে যোগ দেন। নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৭০ রানের ইনিংস খেলেন অভিমন্যু। এবার নিজের মাঠে উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে ২৩৮ বলে ১৪১ রানে অপরাজিত রয়েছেন তিনি। তাঁর ইনিংস ১২টি চার ও ১টি ছক্কা দিয়ে সাজানো ছিল।
আরও পড়ুন: Abhimanyu Easwaran: অভাবনীয় বললেও কম, নিজের নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামেই খেলছেন অভিমন্যু!
আরও পড়ুন: Jaydev Unadkat | Ranji Trophy: অনন্য রেকর্ডে রঞ্জি ইতিহাস জয়দেবের! যা এর আগে পারেননি কেউ
২০০৫ সালে অভিমন্যুর বাবা রঙ্গনাথন ঈশ্বরন দেহরাদূনে এই ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি করেন। ছেলের নামে ক্রিকেট অ্যাকাডেমির নাম রাখেন রঙ্গনাথন। বাবার মাঠেই রঞ্জি খেলতে নামলেন অভিমন্যু। ছোটবেলা থেকে এই মাঠেই খেলেছেন বঙ্গ ওপেনার। ফলে এই মাঠের সবকিছু হাতের তালুর মতো তিনি চেনেন। আর এবার নিজের খুব চেনা মাঠে গড়লেন ইতিহাস।
এদিন টসে জিতে বাংলাকে ব্যাট করতে পাঠান জীবনজ্যোৎ সিং। তবে বিপক্ষকে চাপে রেখে প্রথম উইকেটে সায়ন শেখর মন্ডলকে নিয়ে প্রথম উইকেটে ৮৪ রান যোগ করেন অভিমন্যু। সায়ন (১৮) আউট হলেও অবশ্য বাংলাকে চাপে পড়তে হয়নি। কারণ এবার সুদীপ ঘরামির সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১৭০ রান যোগ করে বিপক্ষকে আরও ব্যাকফুটে ঠেলে দেন শতরানকারী ‘লোকাল বয়’। নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে গত ম্যাচে ১০৪ রান করেছিলেন ডানহাতি সুদীপ। এবার ২৩ বছরের ব্যাটার থামলেন ৯০ রানে। ১৮০ বলে খেলা এই ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ১টি ছক্কা। ২৫৪ রানে ২ উইকেট চলে যাওয়ার পর দিনের শেষদিকে বাংলাকে ধাক্কা দেয় উত্তরাখণ্ড। হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে ১৫৯ রান করা অনুষ্টুপ মজুমদার এদিন দ্রুত ফিরে যান। ফলে দিনের শেষে বাংলা ৩ উইকেটে ২৬৯ রান তুলেছে। দ্বিতীয় দিন অভিমন্যু কোন ছকে মাঠে নামেন সেটাই দেখার।