West Bengal News : লালন শেখের মৃত্যু তদন্তের মামলা থেকে অব্যাহতি নিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। আগে যে বেঞ্চ এই মামলা শুনেছে সেখানেই এই মামলা সরিয়ে নিতে CBI-কে পরামর্শ আদালতের। এরপরেই লালন শেখ মামলায় প্রধান বিচারপতি দৃষ্টি আকর্ষণ CBI-এর আইনজীবী। আদালত সূত্রের খবর, CBI-র আইনজীবি প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতির জয় সেনগুপ্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে মামলার দ্রুত শুনানির জন্য।

Anubrata Mondal: বগটুইকাণ্ডে সিবিআই নজরে এবার অনুব্রত মণ্ডল, হাইকোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টে চাঞ্চল্য
লালন শেখের (Lalon sheikh) মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে রাজ্যের এফআইআর(FIR)-কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই (CBI)। সেই সময় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার অনুপস্থিতিতে মামলাগুলি শুনছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত CBI-কে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আজ সেই মামলার দ্রুত শুনানির জন্য বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন CBI-এর আইনজীবী। বিচারপতি মান্থা মামলা থেকে অব্যাহতি নেন। তিনি জানিয়ে দেন এই মামলার শুনানি বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসেই হওয়া উচিত। উল্লেখ, এর আগে বগটুই গণহত্যা কাণ্ডের (Bagtui Murder Case) মূল অভিযুক্তের মৃত্যুর কারণের সঠিক, নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের জনস্বার্থ মামলা। আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছে, সিবিআই হেফাজতে মৃত লালন শেখের মৃত্যু কী ভাবে হল তা জানতে তদন্ত হোক কর্মরত বিচারপতির নজরদারিতে। পরে সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বদলে সিআইডিকেই তদন্ত চালিয়ে যেতে বলা হয়।

Lalan Sheikh Bagtui : লালনের রিপোর্ট তলব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের
প্রসঙ্গত, রামপুরহাটে CBI-র অস্থায়ী শিবিরের শৌচালয়ে লালনের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায় ১২ ডিসেম্বর। ওই অভিযুক্ত আত্মহত্যা করেছেন বলে CBI-র তরফে দাবি করা হয়। কিন্তু লালনের স্ত্রী রেশমা বিবির অভিযোগ ছিল, CBI মারধর করে তাঁর স্বামীকে হত্যা করেছে। তিনি সাত জন CBI অফিসারের বিরুদ্ধে খুন, হুমকি-সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে সেই মামলার তদন্ত করছে CID।

Bagtui case : লালন শেখ হত্যাকাণ্ডে CBI-কে নোটিশ CID-র
উল্লেখ্য, নয় মাস ধরে পলাতক থাকার পর ৪ ডিসেম্বর বীরভূম লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে ধরা পড়ে বগটুই কাণ্ডের (Bagtui Murder Case) মূল অভিযুক্ত লালন শেখ। ৪ ডিসেম্বর তাঁকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে ছ’দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। ১০ ডিসেম্বর ফের তাঁকে পেশ করা হলে আবারও ছ’দিনের সিবিআই হেফাজত দেওয়া হয়। সেই মেয়াদ শেষের আগেই তাঁর মৃত্যু।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version