তাঁর বক্তব্য, “কেন এত নাম বাদ গেল। টাকার বিনিময়ে আর কি কি করেছেন উনি? এখন তো সব থেকে বেশি সম্পত্তির মালিক উনিই৷ ওনার পিছনে তো ED – CBI দৌড়ছে না। কারণ উনি BJP-র ওয়াশিং মেশিনে ঝাঁপ দিয়েছেন। সেই সাবান জলে আপনি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছেন।”
এদিন বিকেলে বালুরঘাট জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে BJP-র মিথ্যাচার ও কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করা হয়। সেই সভা থেকে এমন ভাষায় শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) কটাক্ষ করেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। এদিনের প্রতিবাদ সভায় মন্ত্রী শশী পাঁজার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূল নেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, রাজ্য তৃণমূলের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, জেলা তৃণমূলের সভাপতি মৃণাল সরকার সহ জেলা তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃত্ব। এদিনের সভা থেকে শশী পাঁজা নারদ কাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারীর টাকা নেওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে উনি কিভাবে হাত পেতে টাকা নিচ্ছিলেন। আজ উনি BJP-তে যাওয়ায় BJP তা ভুলে যেতে পারে, ক্ষমা করে দিতে পারে। কিন্তু আপনাদের (তৃণমূলের দলীয় কর্মীদের) দায়িত্ব তা বারবার সাধারন মানুষকে মনে করিয়ে দেওয়া।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আবাস যোজনায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় কেন্দ্রের তরফে একটি দল রাজ্যে পাঠানো হয় দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে। আর সেই দল ঘুরে দেখে পূর্ব মেদিনীপুর ও মালদা জেলা। আজ শুক্রবার দলটি মালদা জেলায় বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখে। বেশ কিছু ব্যক্তিদের বাড়িতে পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় সরকারের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। ডেপুটি সেক্রেটারি পদমর্যাদার আধিকারিক শক্তিকান্ত সিং, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার চাহাত সিং এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সেকশন অফিসার গৌরব আহুজা কথা বলেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। বাড়ির মালিকদের সঙ্গেও কথা হয় তাঁদের। নয়াদিল্লীতে ফিরে তাঁরা রাজ্যের আবাস যোজনার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করবেন।