West Bengal Tourism: সারা সপ্তাহ কাজের চাপ, টার্গেটের টেনশন থেকে মুক্তি দিতে একটা ছোট ট্রিপের জুড়ি নেই। শহরের আশপাশেই এমন কিছু সুন্দর জায়গা ছড়িয়ে রয়েছে যেখানে কোনও ঝামেলা ছাড়াই পৌঁছে একদিন সুন্দর সময় কাটানো যায়। এমনই জায়গা হচ্ছে দেউলটি। পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে তালিকার উপরের দিকে নাম না থাকলেও প্রতিদিনের একঘেয়েমি জীবনযাত্রা থেকে মুক্তি আর নিরিবিলিতে সুন্দর সময় কাটানোর জন্য এর জুড়ি নেই। শুধু তাই নয়, দেউলটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলার কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ইতিহাসও।

সপ্তাহান্তের ছুটিতে বা একদিনের জন্য কয়েক ঘণ্টা নিরিবিলিতে কাটাতে মনোরম জায়গা খুঁজতে গেলে হাওড়া জেলার দেউলটির জুড়ি নেই। দেউলটি সামতাবেড় গ্রামেই আছে অমর কথা শিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি। রূপনারায়ণ নদীর তীরে অমর কথাশিল্পীর এই বাড়ি দেখতে দূর দূরান্ত থেকে পর্যটকরা ছুটে আসে এখানে।

West Bengal Tourism : পুরুলিয়ার নয়া আকর্ষণ রঞ্জনডি ড্যাম, পর্যটনকে কেন্দ্র করে বদলে যাচ্ছে গ্রামের মানুষের জীবন

কিভাবে পৌঁছনো যাবে?

দক্ষিণ পূর্ব রেলের হাওড়া খড়্গপুর ডিভিশনে দেউলটি স্টেশন থেকে নেমে ১৬ নং জাতীয় সড়ক পার হয়ে টোটো ধরে পৌঁছে যাওয়া যাবে ৩ কিলোমিটার দূরে সামতাবেড় গ্রামের শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি। আবার বাসে বা নিজস্ব গাড়িতে করে কলকাতা থেকে মাত্র ৬৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে দেউলটি।

West Bengal Eco Tourism : নতুন পর্যটনের ঠিকানা হতে চলেছে উলুবেড়িয়ার বেলাড়ি গ্রাম, বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির ইতিহাস

স্থানীয় সূত্রে খবর ১৯২৩ সালে দেউলটির গোবিন্দপুরে দিদি অনিদা দেবীর বাড়িতে বেড়াতে এসে জায়গাটি পছন্দ হয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের। আর এর পরেই তিনি সামতাবেড় গ্রামে জমি কিনে বসতবাড়ি নির্মাণ করেন কথাশিল্পী। এই বাড়িতেই জীবনের শেষ ১২ টা বছর কাটিয়েছিলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। এই বাড়িকে বসেই একাধিক কালজয়ী উপন্যাস তিনি লিখেছিলেন।

West Bengal Trending News: দোকান খুললেই প্রতিদিন সাত হাজার টাকা আয়, নতুন বছরের শুরুতেই তেলেভাজা বিক্রিতে টান!

আর কী কী দ্রষ্টব্য

একদিনের ছুটিতে এখানে এলে শরৎ বাবুর বাড়ি ছাড়াও তার ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস দেখতে পারবেন। এছাড়া এই বাড়ি সংলগ্ন শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ, বিভিন্ন পাখির আওয়াজ মনকে ভরিয়ে দেবে। পাশাপাশি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বয়ে যাচ্ছে রূপনারায়ণ নদী । সেই নদীর পাড়েও ঘুরে আসতে পারেন। বিশেষ করে বিকালে সূর্যাস্তের সময় আপনার মনকে অন্য জায়গায় পৌঁছে দেবে। ইতিমধ্যে এই জায়গাটিকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণ করে তোলার জন্য একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version