ধূলাগড় ট্রাক ট্রার্মিন্যালে প্রকাশ্যে চলছে সাট্টা, জুয়ার রমরমা কারবার। নির্বিকার প্রশাসন।

 

ধূলাগড় ট্রাক ট্রার্মিন্যালে প্রকাশ্যে জুয়া

হাইলাইটস

  • সাট্টা, জুয়া , মাদকের কারবার – এগুলি এক একটি মারাত্মক সামাজিক ব্যাধি।
  • এইসব সামাজিক ব্যাধির কারনে যেমন সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছেন বহু মানুষ থেকে পরিবার, ঠিক তেমনি এসবের নেশায় বুঁদ হয়ে অত্যন্ত কদর্য অসামাজিক কাজও ঘটিয়ে ফেলেছেন অনেক মানুষ।
  • ধূলাগড় ট্রাক ট্রার্মিন্যালে প্রকাশ্যে চলছে সাট্টা, জুয়ার রমরমা কারবার।
West Bengal News : সাট্টা, জুয়া , মাদকের কারবার – এগুলি এক একটি মারাত্মক সামাজিক ব্যাধি। এইসব সামাজিক ব্যাধির কারনে যেমন সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছেন বহু মানুষ থেকে পরিবার, ঠিক তেমনি এসবের নেশায় বুঁদ হয়ে অত্যন্ত কদর্য অসামাজিক কাজও ঘটিয়ে ফেলেছেন অনেক মানুষ। আর ইদানিং রাজ্য জুড়েই বেড়েছে সাট্টা জুয়ার রমরমা। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে বহু জায়গাতেই চলছে এই অবৈধ অসামাজিক খেলা। তেমনই একটি জায়গা হল ধূলাগড় ট্রাক ট্রার্মিন্যাল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ধূলাগড় ট্রাক ট্রার্মিন্যালে (Dhulagor Truck Terminal) প্রকাশ্যে চলছে সাট্টা, জুয়ার রমরমা কারবার। লোটো কাউণ্টারের আড়ালে চলা এই ঠেকে আশপাশের এলাকা থেকে বহু লোক আসছে। সন্ধ্যের পর এই সাট্টা, জুয়ার ঠেকে মদের আসরও বসে বলে অভিযোগ।

Malda News: জুয়ার আসরে বচসার মাঝেই চলল গুলি! আহত ১,
সেইসঙ্গে সমাজবিরোধীদের আনাগোনাও শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, লোটো ব্যবসার নামে এখানে চলা সাট্টা, জুয়ার ঠেকে এসে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। পুলিশের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা জানালেন, “আমাদের মনে হয় সারাদিনই এই কারবার চলে এখানে, সন্ধ্যের পরে এই সাট্টা, জুয়ার কারবার আরও রমরম করে বাড়তে থাকে। এটা আজ থেকে নয়, বহুদিন ধরে চলে আসছে। এলাকার মহিলারা একা ওই জায়গা দিয়ে পারাপার করতে রীতিমতো ভয় পান। দুষ্কৃতীদের আনাগোনাও আছে শুনেছি”। এরপর ওই বাসিন্দার আরও অভিযোগ, “পুলিশ প্রশাসন সবই জানে। তাও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না”। এই লোটো কাউণ্টারে সাট্টা, জুয়ার রমরমা কারবার ক্রমশই বেড়ে চলেছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা দ্রুত পুলিশি পদক্ষেপ নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন।

Barasat News: মদ-গাঁজা-জুয়ার আসর চলবে না! পোস্টার লাগিয়ে কড়া বার্তা বারাসতে
যদিও সাঁকরাইল থানার তরফে বলা হয়েছে, ‘এই বিষয়ে কোনও অভিযোগ তাদের কাছে নেই। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ স্থানীয় মানুষের কাছে পুলিশের আবেদন, এগিয়ে এসে রিপোর্ট লেখান। কিন্তু স্থানীয় মানুষ জানাচ্ছেন, রিপোর্ট লিখিয়ে এলেই সাট্টা জুয়ার লোকদের কু-নজরে পড়তে হবে তাঁদের। তখন তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কে নেবে! তাই স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ প্রশাসনকে নিজে থেকে এগিয়ে এসেই এই অসামাজিক কারবার শিকড় থেকে উপড়ে ফেলতে হবে। পুলিশ নিজের কাজ একদিন করবে, এই আশাতেই দিন গুনছেন এলাকার মানুষ।

আশপাশের শহরের খবর

Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version