স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে শুরু হয় অশান্তি। তার উপর BJP করার অপরাধে ওই দুই পরিবারকে একঘরে করে রাখার অভিযোগ গ্রামের পল্লী কমিটির মাতব্বরদের বিরুদ্ধে। ঘটনা মহিষাদলের (Mahishadal) রঙিবসান গ্রামে। স্থানীয় স্বপন ঘরুই এবং গুরুপদ বারুইয়ের পরিবারকে একঘরে করার ব্যাপারে পোস্টার দেওয়া হয়। অভিযোগকারী পরিবারের এক সদস্য বলেন, “আমরা আজ সকালে দেখলাম এরকম পোস্টার দেওয়া হয়েছে। আমরা এখানে গত আট বছর ধরে আছি। কোনও বাড়িতে কেউ মারা গেলে আমরা যেতে পারিনি। কারও বাড়ি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান হলে আমাদের আমন্ত্রণ করতে ভয় পায়। আমাদের একঘরে করে রাখা হয়েছে।”
ওই দুই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলে আর্থিক জরিমানার করা হবে বলে পোস্টারও লাগানো হয়েছে এলাকায়। দুই পরিবারের থেকে জানা যাচ্ছে, প্রায় ৭-৮ বছর ধরে তাঁদের একঘরে করে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি সামনে এসেছে একটি পোস্টারকে কেন্দ্র করে। গ্রামের পুজো উপলক্ষে একটি পোস্টার ছড়ানো হয়েছে গ্রামে। যেখানে লেখা রয়েছে – কেউ যেন পুজোর প্রসাদ নিয়ে ওই দুই বাড়িতে না যান। যদি কেউ যান, তাহলে তাঁদেরকেও গ্রাম কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হবে। অভিযোগকারী পরিবারগুলোর দাবি, তাঁরা এলাকায় BJP দলের সঙ্গে যুক্ত এবং পল্লী কমিটির সদস্যরা TMC করেন, তাই তাঁদের একঘরে করে রাখা হয়েছে। অবশেষে অভিযোগকারী পরিবার দ্বারস্থ হয়েছে মহিষাদল থানায় (Mahishadal Police Station)।
বিষয়টি নিয়ে ছেড়ে কথা বলেনি স্থানীয় BJP নেতৃত্ব। তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে গ্রামে, গ্রামে গরিব, অসহায় মানুষকে একঘরে করার পরিকল্পনা করেছে রাজ্যের শাসক দল। যদি কোনও পরিবারের কর্মকাণ্ডে কোনও অসুবিধা থাকে, তাহলে সেটা পঞ্চায়েতে আলোচনা হতে পারে। এভাবে সামাজিক দিক থেকে কোনও মানুষকে বয়কট করা যায় ? বিষয়টি নিয়ে থানা, BDO আলোচনা করতে পারে, কিন্তু তা বলে বয়কট করা হচ্ছে ?”
আগামী দিনে শাসক দল তৃণমূল এর জবাব পাবে বলে জানান BJP নেতা। তবে বিষয়টি নিয়ে মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তী বলেন, “এটা কি আদৌ ওই পল্লী কমিটি করেছে। নাকি, কিছুদিন আগেই তো ওখানে বিরোধী দলনেতা এসেছিল। তারপর রাতের অন্ধকারে কেউ করেছে ? যত নির্বাচন এগিয়ে আসবে, ততো সংবাদ মাধ্যমের সামনে এই চটকদারি ঘটনা ঘটানো হবে।”