কী প্রতিক্রিয়া এজির?
শুক্রবারও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কট নিয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (AG) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমার উপর মামলায় হাজির না হওয়ার কোনও নির্দেশ নেই। ওই এজলাসে আমার যে সব মামলা রয়েছে তাতে আমি অংশ নিচ্ছি। বাকি সরকারি আইনজীবীরা কেন যাচ্ছেন না তা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।”
কলকাতায় (Kolkata) আসছেন দিল্লির প্রতিনিধি দল
এদিন বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার (Bar Council Of India) প্রতিনিধিদলের হাইকোর্টে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। দিল্লির (Delhi) কয়েক জন আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট এবর পরবর্তীতে ঘটে যাওয়া বিশৃঙ্খলা নিয়ে কাউন্সিলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন একদল আইনজীবী। এরপরই বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া প্রতিনিধিদল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এতেই পরিষ্কার, হাইকোর্টে আইনজীবীদের একাংশের আচরণে তারাও যথেষ্ঠ ক্ষুব্ধ।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) পর্যবেক্ষণ
গোটা ঘটনা নিয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নিজের পর্যবেক্ষণ, আইনজীবীদের একাংশ এজলাস কক্ষ বাইরে থেকে আটকে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। অন্য আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী এবং আদালতের কর্মচারীদের এজলাসে ঢুকতে বাধা দিয়ে তারা বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপেরই চেষ্টা করেছেন। পোস্টারে মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর অভিযোগ তোলা হয়েছে। আদালতের কার্যপ্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও মত তাঁর। এ ক্ষেত্রে ভয় দেখানোরও চেষ্টা হয়েছে। যোধপুর পার্কে তাঁর বাড়ি এবং কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরের আশপাশে যে পোস্টার সাঁটা হয়েছিল, তা নিয়ে বিচারপতি মান্থা জানিয়েছেন, পোস্টারের অভিযোগগুলি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং জনগণের মধ্যে আদালতের এক্তিয়ারকে হেয় করার উদ্দেশ্য নিয়ে এ কাজ করা হয়েছে।