রবিবার সকালে শিলিগুড়ি (Siliguri) থেকে সেবকে যান প্রতিনিধিরা।
এদিন সকালে শিলিগুড়ি স্টেট হেস্ট হাউজে এক কেন্দ্রীয় সরকারের এক প্রতিনিধি জানান, “এখনও মন্ত্রকের তরফে কোনও নির্দেশিকা আসেনি। কিছু জানানো হয়নি। এখানে আসার কথা বলা হয়েছে।” এদিন সেবকে কালিমন্দিরে পুজো দিতে যান তাঁরা। জানা গিয়েছে, রবিবার থেকেই উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার বেশ কিছু ব্লকে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁদের। খতিয়ে দেখবেন আবাস যোজনার কাজ। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা এবং দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা সহ মোট দশ জেলায় আবাস যোজনায় (Pradhan Mantri Awas Yojana) ঘর বিলির তদন্তে এই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যে এসেছে প্রতিনিধি দল। উল্লেখ্য, আবাস যোজনা নিয়ে গরমিলের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই দার্জিলিং জেলায় ৬ হাজার জনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল। এদিকে তালিকায় সব মিলিয়ে নাম ছিল ২৯ হাজার ৫০০ জনের। সেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় ৬ হাজার জনের। কিন্তু এক ধাক্কায় কেন এত নাম বাদ দেওয়া হল? পুরো বিষয়টি নিয়েই শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে তাঁরা বৈঠক করেন বলে জানা গিয়েছে।
বিগত কয়েক মাসে রাজ্যের একাধিক জেলায় আবাস যোজনা নিয়ে ভুরিভুরি অভিযোগ উঠে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরাও। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর ব্যাপারে দরবার করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। নতুন বছরের শুরু থেকেই আবাস প্লাস যোজনা নিয়ে রাজ্যে আসতে শুরু করেছে প্রতিনিধি দিল। দীর্ঘ টালবাহানার পর আবাস যোজনা প্রকল্পে রাজ্যের অনুদানের ছাড়পত্র দেয় বিজেপি সরকার। ডিসেম্বর মাস জুড়ে জেলায় জেলায় যোজনা নিয়ে সমীক্ষা শুরু হয়। তৈরি হয় আবাস যোজনার ঘর প্রাপকদের তালিকায়।
এর মাঝেই প্রকৃত ঘর প্রাপকরা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে না অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু হতে থাকে। বিতর্ক বাড়তেই প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় টিম রাজ্যে আসতেই তা নিয়ে চাপান উতোর শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। বিগত দফায় দুই মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, কালিম্পং, দার্জিলিং, মালদা, মুর্শিদাবাদ সহ বেশ কয়েকটি জেলা পরিদর্শন করেছেন কেন্দ্রীয় দল।