ঘটনাটি হাবড়া থানার অন্তর্গত নগরউখড়া মোড় এলাকার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পাঁচ দিন আগে হাবড়ার একটি দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে। দোকানের ক্যাশ বাক্স ভেঙে চুরি করে নেওয়া হয় সমস্ত নগদ টাকা। চেঁচেপুছে চোর নিয়ে যায় সমস্ত টাকা। এমনকী সিসিটিভি, হার্ডডিস্কও ছাড়ে না । ফলে ঘটনার সমস্ত রেকর্ডও চলে যায়। ঘটনায় এলাকার ব্যবসায়িক মহলে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে হাবড়া থানার পুলিশ। তবে বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও চুরির ঘটনার কিনারা করতে পারছিল না পুলিশ আধিকারিকেরা। বহু খুঁজেও মিলছিল না কোনও সূত্র। অবশেষে প্রায় বেশ কয়েকদিন পর, চোর নিজে থেকেই এসে পৌঁছল দোকান মালিকের কাছে।
জানা গিয়েছে, চুরি হওয়া দোকানের মালিকের কাছে একটা ৫০০ টাকার নোট খুচরো করতে নিয়ে আসে তাঁরই দোকানেরই কর্মচারী তুষার কীর্তনীয়া। খুচরো করতে দেওয়া ৫০০ টাকার নোটটি দেখে সন্দেহ হয় মালিকের। বিশেষত নোটের উপর লেখা কয়েকটি সংখ্যা দেখে ধন্দে পড়েন তিনি। ভালো করে দেখতেই আর সন্দেহ থাকে না। এই নোটটি তাঁরই। নোটের উপর লেখা ওই সংখ্যা তারই হাতের লেখা। চুরির আগে সেদিন দোকানের ক্যাশবাক্সে ওই টাকা রেখেছিলেন দোকান মালিক বলে জানা যায়।
এরপরই কৌতুহলবশত তিনি ওই কর্মচারীকে জিজ্ঞাসা করেন কোথা থেকে এই ৫০০ টাকার নোট সে পেয়েছে। উত্তরে দোকানের ওই কর্মচারী জানান, একটা কাজে গিয়ে সেখান থেকে এই টাকা তিনি পেয়েছেন। এরপরই দোকান মালিক সেই জায়গায় নিয়ে যেতে বলেন ওই কর্মচারীকে কিন্তু তখনই তিনি বসে বেঁকে বসেন। এরপর এই খবর দেওয়া হয় হাবড়া থানায়।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে গ্রেফতার করে ওই যুবককে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের কথা স্বীকার করে নেন ওই কর্মচারী। এরপরই তুষার কীর্তনীয়াকে সঙ্গে নিয়ে হাবড়া থানার পুলিশ চুরির যাওয়া টাকা ও জিনিস উদ্ধার করতে নামে। সিসিটিভির হার্ডডিস্ক উদ্ধার করতে একটি পুকুরেও তল্লাশি চালানো হয়। অবশেষে চুরির জিনিস উদ্ধার হতে ঘটনায় যুক্ত থাকার অপরাধে তুষার কীর্তনীয়ার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো অবাক স্থানীয় বাসিন্দা সহ ব্যবসায়ীরাও।