Didir Doot programme রামপুরহাটের পর এবার মহম্মদবাজার। দিদির দূত কর্মসূচিতে বেরিয়ে ফের বিক্ষোভের মুখে বীরভূমের সাংসদ (Birbhum MP) শতাব্দী রায় (Satabdi roy)। রামপুরহাটের বিষ্ণুপুর ও পরে মেলেরডাঙ্গার পর এবার মহম্মদবাজার পঞ্চায়েতের ফুল্লাইপুরে শতাব্দী রায়ের গাড়ি আটকে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। দিদির সুরক্ষা কবচ ও দিদির দূত কর্মসূচিতে বেরিয়ে বারবার জনসাধারণের ক্ষোভের মুখে পড়ছেন শাসক দলের সাংসদ বিধায়কেরা। শতাব্দী রায়ের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা আলাদা নয়। যদিও গ্রামবাসীদের এই ক্ষোভ বিক্ষোভের ক্ষেত্রে বিজেপিত রণনীতির হাত দেখছেন বীরভূমের সাংসদ।

জানা গিয়েছে, মহম্মদবাজার পঞ্চায়েতের ফুল্লাইপুরে এদিন সাংসদের গাড়ি ঘিরে ধরেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। বহুদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যা, বছরের পর বছর কেটে যাওয়ায় তা সমাধান না হওয়ায় ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি বাসিন্দারা। সাংসদের গাড়ির সামনে সাংঘাতিক বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি হয়। উত্তেজিত স্বরে চেঁচামেচি করতে থাকেন গ্রামবাসীরা। সাংসদের অনুরোধ সত্ত্বে লাভ হচ্ছিল না। তাদের গ্রামে পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে জেরবার বাসিন্দারা। সেচের জলের অভাবে ক্ষতিগ্রস্থ চাষবাস। শতাব্দী নিজে সেই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন এবং সহায়ককে সব নোট নিতে বলেন।

Satabdi Roy : কর্মীর বাড়িতে পাত পেড়ে খেলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী, বললেন…

মহম্মদবাজারের পর চরিচা পঞ্চায়েতের বিরুপুর গ্রামে গিয়েও একই অভিযোগ আসে। আবাস যোজনায় নাম বঞ্চিত থাকার ঘটনা ছাড়াও স্থানীয় শিবমন্দির সংস্কার এবং জলসেচের সমস্যাও তাঁকে জানান গ্রামবাসীরা। যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে শতাব্দীর অভিযোগ, বিজেপির মদতেই অনেক সময় অসত্য অভিযোগ করছেন গ্রামবাসীরা। তারকা সাংসদ বলেন, “আমি এখানে এসেছি কী কী কাজ হয়নি তা জানতে। কী কী পায়নি জেনে নিচ্ছি। সেগুলি যথাসাধ্য চেষ্টা করব আগামী দিনে সেই সমস্যা সমাধানের। আর যারা এসব বলছেন তারা এখানে ওখানে লাগানো বিজেপির ফ্ল্যাগের নিচে দাঁড়িয়ে কথা বলছে, এর ফলেই সুর অন্য।” সাংসদের মুখে এই কথা শুনে বিরোধীদের কটাক্ষ, ”তৃণমূলের সব নেতাই বিজেপির ভূত দেখছে।”

Saugata Roy : আবাস নিয়ে ক্ষোভ, দত্তপুকুরে ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে বিক্ষোভের মুখে সৌগত

সম্প্রতি দিদির দূত কর্মসূচিতে বেরিয়ে বীরভূমের তেঁতুলিয়া গ্রামে গিয়ে দলীয় কর্মীর বাড়িতে খাবার সাজানো পাতের সামনে ছবি তুলে তারপর উঠে পড়ায় প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়। তারকা তৃণমূল সাংসদের দিকে ধেয়ে আসে কটাক্ষের তির। যদিও তাঁর পরের দিনই বিড়ালতোড় গ্রামে কর্মসূচিতে গিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সজল সাহার বাড়িতে পাত পেড়ে খেয়ে সেই বিতর্কে জল ঢালেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version