West Bengal News : সোমবার সন্ধ্যায় হুগলি (Hooghly) জেলার হিন্দমোটরে (Hindmotor) গঙ্গা আরতি করতে গিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেসকে (Trinamool Congress) বেলাগাম আক্রমন করলেন BJP-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। হিন্দমোটর (Hindmotor) সংকল্পের আয়োজনে গঙ্গারতি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন BJP রাজ্য সভাপতি। গতকাল পুরোহিতদের সঙ্গেই গঙ্গারতি করেন তিনি। এরপর তিনি মালদহে দিদির দূতদের (Didir Doot) ‘গ্রামে ঢুকতে না দেওয়া’র নিদান প্রসঙ্গে জানান, “দিদির দূত (Didir Doot) সেজে যারা গিয়েছেন, গ্রামের মানুষ তাদেরই ঝাঁটা পিটিয়ে দূর করছেন। সব জায়গায় এটা হচ্ছে, আর ভবিষ্যতেও হবে। এরপর গাধার পিঠে চাপিয়ে ঘোল ঢেলে ঘোরাবেন মানুষ।”

Sukanta Majumdar: ‘বিধায়ক নওশাদকে যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তা নিন্দনীয়’, ISF-এর পাশে সুকান্ত
গতবারের পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বলতে গিয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “পাঁচ বছর আগে ভোট লুঠ করে জিতেছিল। সেইসব জালি সদস্য ও জালি প্রধানরা মানুষের টাকা লুঠ করেছে। মানুষের মধ্যে চরম আক্রোশ রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট অবাধ ও স্বচ্ছভাবে হলে তৃনমূল জিতবে না। তাই দলদাস পুলিশ দিয়ে ভোট করাতে চাইছে শাসকদল।”

Sukanta Majumder :’দিদির সঙ্গেই ওঁর যোগাযোগ নেই…’ মিঠুনকে নিয়ে ফিরহাদের দাবি নস্যাৎ করে খোঁচা সুকান্তর
রাজ্যে বারংবার কেন্দ্রীয় দল আসা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “উত্তরপ্রদেশে তো চুরি হয় না। উত্তরপ্রদেশে কোন নেতার বান্ধবীর বাড়ি থেকে এত কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে! উত্তরপ্রদেশে কোন যুবনেতার এরকম বিলাসবহুল ফ্ল্যাট দেখা গিয়েছে! যে রাজ্যে দুর্নীতি হবে, সেখানে কেন্দ্রীয় দল আসবেই।” কয়েকদিন আগেই অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) বলেছেন লক্ষ্মীর ভান্ডার (Mamata Banerjee) ‘মাস্টার স্ট্রোক’। সোমবার এই বিষয় নিয়েও মুখ খোলেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “কিছু মানুষকে সাময়িক বোকা বানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেটা তো আমরাও বারবার বলেছি। তাহলে তো এটা মাস্টার স্ট্রোকই। এতে যে মহিলা পাঁচশো টাকা করে পাচ্ছেন, তার ছেলে কি চাকরি পাচ্ছে? কিন্তু BJP সরকার আসামে করে দেখিয়েছে। অসহায় মহিলাদের তিন হাজার টাকা আর তার সঙ্গে চাকরিও দিয়েছে।”

Mithun Chakraborty: ‘…পঞ্চায়েতে জিতেই দেখাব’, মঞ্চ থেকে হুংকার মিঠুন চক্রবর্তীর
এছাড়াও সুকান্ত এদিন ISF-এর হিংসাত্মক হয়ে ওঠা আন্দোলন নিয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, “এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তারা মিটিং মিছিল করতেই পারেন। কিন্তু তাদের নীতির সঙ্গে আমাদের কোনও মিল নেই। কিন্তু তাদের অধিকার আছে মঞ্চ বাঁধার, মিটিং করার। সেখানে বক্তব্য যদি দেশবিরোধী হয়, তারজন্য পুলিশ আছে, প্রশাসন আছে। কিন্তু যদি গনতান্ত্রিক হয়, ভারতের সংবিধানকে মেনে হয়, তাহলে যে কারও এই ধরনের কর্মসূচি করার, প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করার অধিকার আছে।” পাহাড়ে GTA বাতিলের ডাক প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “আমরাও বলেছি GTA অসাংবিধানিক। এই অসংবিধানিক বডি নিয়ে কোনও উন্নয়ন সম্ভব না।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version