এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা কাঞ্চন মুন্সি জানান, “গতকাল অনেক রাত পর্যন্তই এই পার্টি অফিসে আমাদের দলীয় কর্মীরা ছিলেন। তারপর তারা অফিসে তালা দিয়ে বাড়ি চলে যান। তারপরেই বেশ কিছু দুষ্কৃতী এসে রাতের অন্ধকারের সুযোগে অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে দুটি টিভি ও শতাধিক দলীয় ফেস্টুন এবং ব্যানার”। অন্যদিকে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “এই আগুন থেকে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত, কারন পাশেই খড়ের গাদা ছিল”। অন্যদিকে এই বিষয়ে আরামবাগ BJP-র সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুশান্ত বেরার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করে দেখলেই তা বোঝা যাবে। কারন বেশিভাগ সময়ই বাতানোরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে”।
যদিও আরামবাগ ব্লক তৃনমুল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা আরামবাগ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী এই বিষয়ে জানান, “BJP চক্রান্ত করে এই সব ঘটনা ঘটাচ্ছে। এই ভাবে পঞ্চায়েত ভোটের বৈতরণী পার হওয়ায় যাবে না। BJP-র মুখোশ খুলে যাচ্ছে। মানুষ উন্নয়নের পাশেই আছেন”। সবমিলিয়ে শাসক দল তৃনমুলের পার্টি অফিসে আগুন লাগায় রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা আরামবাগ মহকুমা জুড়ে। এই বিষয়ে এই গ্রামেরই স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এই আগুন লাগার ঘটনা ঘিরে কোন সময় যে আবার রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি লেগে যাবে গ্রাম জুড়ে তা কেউ বলতে পারছেন না। গ্রামের সাধারন মানুষ যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। পুলিশের কাছে অনুরোধ রইল এর পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য”।