এই সময়: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে হন্যে হয়ে ‘গোপাল’-এর খোঁজ করছিল ED। সেই ‘গোপাল’ নিজেই ফোন করলেন ED-র দপ্তরে! গোপাল, অর্থাৎ গোপাল দলপতি। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ED-র হাতে ধৃত কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh) এই নামটি প্রকাশ্যে এনেছিলেন। কুন্তলের দাবি ছিল, তাপস মণ্ডল, নীলাদ্রি ঘোষ, গোপাল দলপতিরা তাঁর থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা দাবি করেছেন। এর পরে গোপাল দলপতির খোঁজ করতে গিয়ে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, তিনি দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) আর্থিক অপরাধ দমন শাখার হাতে গ্রেপ্তার হয়ে তিহার জেলে রয়েছেন। সেখানে খোঁজখবর করতে গিয়ে আবার জানা যায়, গোপাল জামিনও পেয়ে গিয়েছেন। তাঁর সম্ভাব্য ঠিকানার খোঁজ করছিল ED।

Kuntal Ghosh Tapas Mondal : ‘কেন চাইব না…’, দুর্নীতিকাণ্ডে কুন্তলের থেকে টাকা নেওয়ার কথা মানলেন তাপস!
কিন্তু কলকাতার ED অফিস সূত্রের খবর, সোমবার দুপুরে গোপাল নিজেই তদন্তকারীদের ফোন করে তাঁদের সামনে হাজিরা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে রেকর্ড করাতে চেয়েছেন তাঁর বয়ানও। ইডি সূত্রে খবর, আজ, মঙ্গলবার তাঁকে সল্টলেকের CGO কমপ্লেক্সে হাজির হতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি যুব তৃণমূলের আর এক নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তলব করা হয়েছে। তাঁকে বুধবার CGO কমপ্লেক্সে আসতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

Kuntal Ghosh : জট কাটাতে মুখোমুখি জেরায় তাপস-কুন্তল ?
শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় তাপস মণ্ডল ED আধিকারিকদের কাছে দাবি করেছিলেন, চাকরি প্রার্থীদের থেকে প্রায় ১৯ কোটি টাকা দিয়েছিলেন কুন্তলকে। চাকরি দিতে না পারায়, তাঁর পরিচিতদের হয়ে সেই টাকা ফেরত চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা দেননি কুন্তল। নীলাদ্রি দাবি করেন, তিনি তাপসের কথায় টাকা ফেরত চেয়ে চাপ দিচ্ছিলেন কুন্তলকে। এর পরই কুন্তলের চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে গুচ্ছগুচ্ছ নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে ED। তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়। তাঁর মুখেই গোপালের বিষয়ে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। গোপালকে তাপসও চেনেন বলে জানিয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমকে।

Teacher Recruitment Scam : চারমূর্তির রহস্যভেদেই খুলবে ‘প্যান্ডোরার বাক্স?’
ED জানতে চাইছে, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা কার মাধ্যমে, কার কাছে গিয়েছে। কে কত টাকা নিয়েছেন। সেই রহস্য ভেদ করতেই সংশ্লিষ্ট সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। এর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের বাসিন্দা গোপালের বাবা কালীপদ দলপতি সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন, ছেলে কী চাকরি করেন, তাও তিনি জানতেন না। ছেলের সঙ্গে তাঁর তেমন যোগাযোগও নেই। নিয়োগ দুর্নীতির প্রক্রিয়ার সঙ্গে গোপাল, নীলাদ্রি, তাপসের কোনও ভূমিকা রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃতীয় কোন ব্যক্তির হাতযশ রয়েছে কি না, সে বিষয়েও গোপাল এবং শান্তনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। ইডি সূত্রে খবর, এই তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে কুন্তল, শান্তনুদের মোবাইল ফোনেরও। মোবাইলে থাকা কিছু গুরুত্বপূর্ণ এসএমএস বা চ্যাট মুছে ফেলা হয়েছিল কি না, সেই মেসেজে কী লেখা ছিল, তা জানতে চান তদন্তকারীরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version