এদিকে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের (Jalpaiguri District Court) বার অ্যাসোসিয়েশনের (Bar Association) পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, এর আগেও এই ধরনের একাধিক অপরাধ মূলক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে দীপঙ্কর সরকারকে বার লাইব্রেরীর সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে গত ৫ বছর আগে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ১২ তারিখ ভোরে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের মালকানি এলাকায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ATM মেশিন (Bar Association) ভেঙে চুরি করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
ওই ATM মেশিনের CCTV ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দীপঙ্কর সরকারকে চিহ্নিত করা হয়। কিছু দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পরে গতকাল রাতে গ্রেফতার করা হয় তাকে। এই বিষয়ে বার অ্যাসোসিয়েশনের (Bar Association) প্রাক্তন সম্পাদক অভিজিৎ সরকার বলেন, “এর আগেও এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যাঙ্ক ডাকাতির অভিযোগ ছিলো। যে কারণে প্রায় ৫ বছর আগেই তাকে বার লাইব্রেরি থেকে বহিস্কার করা হয়। এক জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ উঠবে, আর তাকে সদস্য করে রাখা হবে, সেটা সমর্থন যোগ্য নয়। তাই সেই সময় তাকে একদিনের নোটিশে বহিস্কার করা হয়েছিল।” জানা গিয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তি জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের (Jalpaiguri District Court) আইনজীবী হিসেবে অনেকদিন থেকেই প্র্যাকটিস করে আসছিলেন। একজন আইনজীবী হওয়ার পরেও তিনি এই ধরনের অপরাধ মূলক কাজের সাথে জড়িয়ে পড়েন।
এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিপুল রায় বলেন, “একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বছর পাঁচেক আগে দীপঙ্কর সরকারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমানে সে বারের সদস্য নয়।” তিনি বলেন, এর আগে একটি ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু সেই সময় তিনি সম্পাদকের পদে ছিলেন না। তবে সেই সময় তিনি শুনেছেন তাকে বার থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। যেহেতু দীপঙ্কর এখন বারের সদস্য নয় সেই কারণে সে বাইরে কি করছে সেই বিষয়ে তাঁর কথা না বলাই ভালো বলে জানান বিপুল রায়।