পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম মিনজুরা বেওয়া। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মিনজুরা বেওয়া নামের ওই বৃদ্ধা মহিলাকে তার নিজের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পান তাঁর এক প্রতিবেশী। এই ঘটনা জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা ওই বাড়িতে পৌঁছনোর পর দেখতে পান মৃত অবস্থায় নিজের ঘরে ওই মহিলা পড়ে রয়েছেন। তার বৌমা রুনা লাইলার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, তিনিই খুন (Murder) করেছেন।
রুনাই শ্বাশুড়িকে গলা টিপে মেরে ফেলেছে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমি মিনজুরা বেওয়ার বাড়ির পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। সেই সময়েই হঠাৎ ওনার বাড়ির ভিতর চোখ যাওয়াতে দেখি উনি মেঝের ওপর অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে আমি বাকি পাড়া প্রতিবেশীদের ডেকে আনি। তারাই মিনজুরা বেওয়াকে ওই অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেন।” ঘটনার খবর পেয়ে ওই এলাকায় পৌঁছয় রানীনগর থানার পুলিশ (Raninagar Police Station)। অভিযুক্ত বৌমা ও ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। দেহ উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে (Murshidabad Medical College and Hospital) হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে।
অন্য এক প্রতিবেশী মিনজুরা বেওয়ার ছেলে ও বৌমার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, “ওনার বৌমা রুনা মোটেও ভালো মহিলা নন। আর মিনজুরা বেওয়ার ছেলে তো রুনার কথাতেই উঠতে বসতে মিনজুরা বেওয়ার ওপর অত্যাচার করত। এই বিষয়ে মিনজুরা বেওয়া ঘনিষ্ঠ মহলে একাধিকবার দুঃখ করে বলেছেন। একবার পাড়ার সবাই মিলে ওনার ছেলে ও বৌমাকে ধরে নিজের মা’র ওপর অত্যাচার করতে বারনও করা হয়েছিল। কিন্তু সেকথাতে যে কাজ হয়নি, তা আজ বোঝা গেল।” এতদিন মিনজুরা বেওয়ার ওপর অত্যাচারের কথা শুনলেও, তাঁর ছেলে ও বৌমা মিলে যে সরাসরি তাঁকে খুন করে দেবে, একথা তাঁরা দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি বলে জানিয়েছেন মিনজুরা বেওয়ার ওই প্রতিবেশী।