ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান রফিক নষ্ট হয়ে যাওয়া আলু জমি পরিদর্শন করেন এবং চাষিদের পাশে থাকার বার্তা দেন। তিনি বলেন, চাষিরা এই বিষয়ে পঞ্চায়েতে গিয়েছিল। আমি জমি পরিদর্শন করলাম। কোনও ক্ষতিপূরণের ব্যাবস্থা করা যায় কিনা, ভেবে দেখা হচ্ছে।” অভিযোগ, সমবায় সমিতির থেকে পাওয়া সার জমিতে প্রয়োগ করার পরেই আলু গাছ নষ্ট হয়ে যায়। চাষিদের তরফে বার বার সমবায় সমিতির ম্যানেজারে সঙ্গে যোগাযোগের করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু উনি ফোন ধরেননি। তারপর আরামবাগ ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষকে বিষয়টি জানান হয়। এই সমস্ত চাষিরা ঋণ নিয়ে আলু চাষ করে। পুর্বকেশবপুরের স্থানীয় এক চাষি স্বপন সামন্ত বলেন, “সারের জন্যই আলু গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আড়াই বিঘা জমির আলু গাছ শুকনো হয়ে যায়। কাটা প্রতি এক বস্তাও আলু উৎপাদন হবে না।
আরেক চাষি কাশিনাথ জানা বলেন, সবই চন্দ্রমুখী আলু বসানো হয়েছিল। মুন্ডেশ্বরী সমিতি থেকে সার নিয়েছিলাম। সেই সার জমিতে প্রয়োগ করার পরেই গাছ নষ্ট হয়ে যায়। আমরা বাঁচবো কী করে ? ক্ষতিপূরণ না দিলে সংসার চালানো দায় হয়ে পড়ছে।” বিষয়টি নিয়ে আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গুণধর খাঁড়া বলেন, পূর্বকেশবপুরের চাষিদের অভিযোগ আমরা পেয়েছি। জমির আলু গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। চাষিদের স্বার্থে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। আরামবাগ ব্লকের বিডিও কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিষয়টি কৃষি দফতরের। তাই বিষয়টি নিয়ে কৃষি দফতরের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।