দুপুরে দুপুরে বাদ্য বাজনা সহ সমর্থকদের বিশাল বর্ণাঢ্য মিছিল নিয়ে এসে মনোনয়ন পত্র জমা দেন দেবাশিষ ব্যানার্জী। এদিন বহরমপুর (Berhampore) প্রশাসনিক ভবনে মনোনয়নপত্র জমা দেন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) প্রার্থী। এদিন দেবাশীষ ব্যানার্জী বহরমপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস ভবন থেকে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রশাসনিক ভবনে আসেন। সেখানে রিটার্নিং অফিসার দিব্যেন্দু মজুমদারকে তিনি তার মনোনয়ন পত্র জমা দেন।
জয়ের ব্যাপারে কতটা আশাবাদী এই প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জানান, “আমি আমার এবং দলের জয়ের ব্যাপারে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। এই উপনির্বাচনে জয়ের ধারা বজায় রেখে আমরা দলনেত্রীর সমস্ত উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিকে মানুষের কাছে নিয়ে যাব। তৃণমূল কংগ্রেসের উন্নয়নে সাগরদিঘির মানুষ সঙ্গে আছেন। এখানকার মানুষ উন্নয়নের স্বার্থে ভোট দেবেন।” এদিন বাম কংগ্রেস জোট (Left Congress Alliance) নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “বিরোধী জোট নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। বিরোধীদের কথা তাঁরাই বলতে পারবেন। তবে এটুকু বলব ওটা জোট নয়, ঘোঁট। ওরা যে কি করতে চায়, ওরা নিজেরাই সেটা জানেন না।” নির্বাচন কমিশন তারিখ ঘোষণার পর সাগরদিঘির উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর BJP-র টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন দিলীপ সাহা।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, উপনির্বাচনে ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। ২৪৬টি বুথের সবকটিতেই থাকবে বাহিনী। থাকবেন ৩ জন অবজার্ভার। ১২ ফেব্রুয়ারিই সাগরদিঘিতে পৌঁছে যাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ১৯৭৭ থেকে ২০১১ একটানা বামেদের দখলে ছিল এই সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্র। ২০১১ সালে রাজ্যে শাসকের সঙ্গে বদলে যায় সাগরদিঘির রঙও। এরপর, ২০২১ সাল পর্যন্ত সাগরদিঘির রাশ ছিল তৃণমূলের হাতে। ২০২১ বিধানসভা ভোটে সাগরদিঘিতে দ্বিতীয়স্থানে ছিল BJP। জোটে লড়ে তৃতীয় স্থান পেয়েছিল বাম কংগ্রেস। এবার, এখনও পর্যন্ত সাগরদিঘিতে প্রার্থীর ঘোষণা করেনি বামেরা। পৃথকভাবে কংগ্রেসের তরফে মনোনয়ন জমা দিলেও, বামেদের সমর্থন চেয়ে বিমান বসুকে চিঠি দিয়েছেন অধীর চৌধুরী।