জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পূর্ণিমা মাত্রেই হিন্দু ধর্মবিশ্বাসে অতি সন্তর্পণে যথাবিহিত পালিত হয়। সব পূর্ণিমারই নিজস্ব গুরুত্ব ও তাৎপর্য রয়েছে। তবুও মাঘী পূর্ণিমার গুরুত্ব একটু আলাদা, একটু অন্যরকম। দিনকুড়ি আগের পৌষসংক্রান্তিতে যাঁরা গঙ্গায় বা কোনও নদীতে বা কোনও সঙ্গমে স্নান করতে পারেননি, এদিন তাঁরা স্নান করে সেই একই পুণ্য অর্জন করতে পারেন বলে মনে করা হয়।
কবে, কখন পূর্ণিমা:
আজ, ৫ ফেব্রুয়ারি, দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে মাঘী পূর্ণিমা। তবে পূর্ণিমা তিথিটি পড়েছে ৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ২৯ মিনিটে, তিথিটি থাকছে আজ রাত ১১টা ৫৮ পর্যন্ত।
সঙ্গমে স্নান:
মাঘী পূর্ণিমার দিনে সঙ্গমে স্নানের বিশেষ গুরুত্ব। এদিন এলাহাবাদ প্রয়াগে বা গঙ্গাসাগরে অসংখ্য ভক্ত স্নান করতে যান। যে কোনও সঙ্গমস্নানকেই অতি পুণ্যকর্ম বলে মনে করা হয়।
এমনিতেই মাঘ মাসে গঙ্গাস্নানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তবে এই তিথিতে অনেকেই গঙ্গাস্নানে যেতে পারেন না। যেতে না পারলে স্নানের জলে সামান্য গঙ্গা জল এবং তিল যোগ করে বাড়িতে স্নান করা চলে। এই রীতি মেনে চললে যে কোনও কাজে শুভ ফল মেলে এবং সৌভাগ্য বৃদ্ধি পায় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন: Horoscope Today: প্রেমে বিপত্তি, ক্ষতির চেষ্টা শত্রুদের! জানুন কোন রাশির দিন কেমন যাবে?
কী তাৎপর্য এই পূর্ণিমার:
অতি পুণ্য তিথি এই মাঘী পূর্ণিমা। এদিন দান-ধ্য়ান কর্তব্য। দরিদ্রকে খাদ্য-পোশাক ঘি-ফল ইত্যাদি দেওয়া রীতি। এবং স্নান। এই তিথিতে গঙ্গা স্নান অতি পুণ্যকর্ম।
কী করণীয় এই পূর্ণিমায়:
মাঘী পূর্ণিমার দিনে স্নানের পরে ধ্যান-জপ-পূজা বিধি, তারপর গীতা পাঠ করলে তা খুবই ভালো। এদিন সমস্ত রীতি মেনে চললে বিষ্ণুর আশীর্বাদ পাওয়া যায় বলে বলে থাকেন জ্যোতিষবিদ ও পূজাবিশেষজ্ঞেরা। মাঘী পূর্ণিমা যথাযথ পালন করলে আশেপাশের সমস্ত নেতিবাচক শক্তি সরে যায়। শুভচিন্তা ও উন্নত বোধশক্তির বিকাশ ঘটে।