স্থানীয় সূত্রে খবর, নকল হলুদ তৈরির মিলে হানা দিয়ে তিনজনকে আটক করেছে এনফোর্সমেন্ট বিভাগ। হলুদের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে ল্যাবে। সিল করে দেওয়া হয়েছে হলুদ মিলটি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন সন্ধ্যায় চাঞ্চল্য ছড়াল সামশেরগঞ্জে (Shamsherganj)। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন ধূলিয়ান বাজারে (Dhuliyan Market) হঠাৎ হানা দেয় জঙ্গিপুর ডিস্টিক এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ এবং ফুড সেফটি ডিপার্টমেন্ট।
এনফোর্সমেন্ট ব্র্যাঞ্চ সূত্রে খবর, শনিবার দুপুর থেকে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের (Shamsherganj) ধূলিয়ানের শিবমন্দির বাজারে অবস্থিতএকটি হলুদ মিলে হানা দেয় ফুড সেফটি ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরা। দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ ছিল, নকল হলুদ তৈরি করা হত এই মিলে। মিলের যাবতীয় সরঞ্জাম ও কাঁচা মাল খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। হলুদের গুণগত মান থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামগ্রী যাচাই করা হয়। সন্দেহজনক হওয়ায় মিল থেকে হলুদের নমুনা সংগ্রহ করেন আধিকারিকরা। পাশাপাশি আটক করা হয়েছে তিনজনকে। অধিক মুনাফা লাভের জন্য বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য ও রং মিশিয়ে ভেজাল হলুদ এবং লঙ্কার গুঁড়ো তৈরি করা হচ্ছিল বলে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণেই নিশ্চিত করেন সরকারি আধিকারিকরা। নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠান হবে বলেও জানিয়েছেন ডিস্টিক এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ এবং ফুড সেফটি ডিপার্টমেন্টের কর্তারা। এদিন হলুদ মিল থেকে বেশকিছু সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
প্রসঙ্গত, জানুয়ারি মাসে মালদা হরিশ্চন্দ্রপুরে একাধিক হলুদ ও মশলা তৈরির কারখানায় হানা দেয় জেলা প্রশাসন। একযোগে অভিযান চালায় খাদ্য সুরক্ষা দফতর, ক্রেতা সুরক্ষা দফতর, ওজন ও পরিমাপ দফতর এবং পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে বেশকিছু আপত্তিকর রাসায়নিক ব্যবহারের হদিশ মিলেছে। এরই জেরে তিনটি কারখানাকে নোটিস ধরিয়েছে খাদ্য সুরক্ষা দফতর (Department of Food Safety)। কারখানাগুলি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে হলুদ এবং লঙ্কার গুঁড়োর নমুনা। এইসব নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে সরকারি ল্যাবে। পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।